নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছিল এমন ধারণা ছিল দেশবাসীর। কিন্তু বছর শেষ হওয়ার আগেই নতুন প্রজাতির করোনা ভাইরাস সংক্রমণের খবর রাতারাতি আরো উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ব্রিটেন থেকে ছড়িয়ে পড়া সংক্রমণ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে দেখা গিয়েছে বলে খবর মিলেছিল প্রথমেই। পরে ভারতেও লন্ডন ফেরত কয়েক জন যাত্রীর ভাইরাস উপসর্গের খোঁজ মেলায় আতঙ্ক বাড়ছিল। সম্প্রতি লন্ডন ফেরত কয়েকজন এই নতুন করোনাভাইরাসে সংক্রামিত হয়েছেন বলেও খবর মিলেছে। এবার জানা গেল, বিগত এক মাসে কমপক্ষে ৩৩,০০০ জন ব্রিটেন থেকে ভারতে এসেছে!
নতুন প্রজাতির এই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বর্তমান করোনাভাইরাসের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক এবং গবেষকরা। সেই খবর সামনে আসার পরেই রাতারাতি বেড়েছে উদ্বেগ এবং আতঙ্ক। সাবধানী পদক্ষেপ নিয়ে বৃটেনের আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা ভারতে বন্ধ করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু যে খবর সামনে আসছে তাতে স্পষ্ট যে যা হওয়ার তা আগেই হয়তো ঘটে যেতে পারে। জানা গিয়েছে, ২৪ নভেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৩,০০০ জন যাত্রী ব্রিটেন থেকে ভারতে এসেছেন। উল্লেখযোগ্য ব্যাপার, এই নতুন ধরনের করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর ছড়িয়ে পড়েছিল মধ্য ডিসেম্বরেই। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, ব্রিটেনে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর অনেক যাত্রীই সেখান থেকে ভারতে এসেছেন, সম্প্রতি দেশে ফিরে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের শরীরে এই নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাস মিলেছে। সুতরাং দেশে সংক্রমণ যে আরও বাড়তে পারে তার আশঙ্কা করা হচ্ছে ইতিমধ্যেই।
তবে এই নতুন ধরনের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের থেকেও বড় চিন্তা সাধারণ মানুষের অবহেলা। কারণ ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে অভিযোগ আসছে যে যারা সম্প্রতি ব্রিটেনের থেকে দেশে ফিরেছেন তারা কেউ নিজেদের সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিচ্ছেন না প্রশাসনকে। গত কয়েকদিনের মধ্যেই একাধিক ঘটনা শোনা যাচ্ছে যে, লন্ডন ফেরত অনেকে নিজেদের সঠিক ঠিকানা ফোন নম্বর দিচ্ছেন না। তার জন্য আদতে কারা আক্রান্ত এবং কারা আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছেন তাদের খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে উদ্বেগ এবং আতঙ্ক দুইই বাড়ছে পাল্লা দিয়ে।