ত্রিপুরা: জেল থেকে কয়েদিদের পালিয়ে যাওয়ার মতোই কোভিড সেন্টার থেকে করোনা রোগীরা বেপাত্তা৷ সম্প্রতি ত্রিপুরায় এমনই ঘটনা ঘটেছে৷ ত্রিপুরার কোভিড-১৯ কেয়ার সেন্টার থেকে ৩১ জন করোনা পজিটিভ রোগীর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওই কোভিড-১৯ সেন্টারের সামনের দরজায় নিরাপত্তারক্ষী পাহারায় ছিলেন। কিন্তু ৩১ জনই পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়েছেন। পিছনের পাঁচিল টপকে তাঁরা চম্পট দিয়েছেন। এই ঘটনার পরই ত্রিপুরা পুলিশ জোরকদমে তল্লাশি শুরু করেছে। রোগীদের চিহ্নিত করতে সব রেলস্টেশনগুলিকে খবর দেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরার এই কোভিড সেন্টার থেকে পালানো রোগীরা এসেছিলেন উত্তপপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে। ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের হয়ে একটি নিয়োগের পরীক্ষায় এসেছিলেন তাঁরা। ঘটনার খবর শুনে আতঙ্কিত ত্রিপুরাবাসী৷ কারণ সেন্টার থেকে পালানো ৩১ জনের শরীরেই রয়েছে করোনার মতো মারণ ভাইরাস। সদর সাবডিভিশনাল পুলিশ অফিসার অনির্বাণ দাস বলেছেন, ‘সব পুলিশ স্টেশনে এই খবর পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে রেলের সমস্ত দফতর ও আধিকারিকদের এই খবর দেওয়া হয়েছে। যে রাজ্যগুলি থেকে তাঁরা এসেছিলেন সেখানকার রেলকেও খবর দেওয়া হয়েছে।’
পশ্চিম ত্রিপুরার ম্যাজিস্ট্রেট শৈলেশ কুমার যাদব জানিয়েছেন, গত ২৪ এপ্রিল থেকেই ত্রিপুরায় করোনা নিয়ে নির্দেশিকা জারি হয়েছে৷ নির্দেশিকা অনুযায়ী, ত্রিপুরায় আসা প্রত্যেককে কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। নয়তো র্যা পিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো হবে। পলাতক ৩১ জনকেও সে কারণেই ওই সেন্টারে রাখা হয়েছিল। পরীক্ষায় প্রত্যেকের রিপোর্ট কোভিড পজিটিভ এসেছিল। এই সেন্টারে ৬৫টি বেড রয়েছে। বুধবার পর্যন্ত ৫৬ জন ছিলেন। শুক্রবার সকালে সেখান থেকে ৩১ জন পালিয়ে গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ত্রিপুরায় আরও ৭৬ জন কোভিড পজিটিভ রোগী ধরা পড়েছেন। সব মিলিয়ে রাজ্যে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ হাজার ২৬২ জন। বৃহস্পতিবার শিলচর বিমানবন্দরেও প্রায় ৩৮৫ জন যাত্রী বাধ্যতামূলত করোনা পরীক্ষা না করিয়েই পালিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ। তাঁদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ অপরাধ আইনে মামলা করবে বলে জানা গিয়েছে।