নয়াদিল্লি: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনার মধ্যেই মাথাচাড়া দিচ্ছে পাক জঙ্গিরা৷ ভারতে অনুপ্রবেশের জন্য মুখিয়ে রয়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ জঙ্গি৷ সীমান্তের ওপাড়ে একাধিক ঘাঁটিতে লুকিয়ে রয়েছে সশস্ত্র জঙ্গির দল৷ শনিবার এ বিষয়ে সতর্ক করে দিল ভারতীয় সেনা৷
আগামী দিনে আরও বেশি করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে৷ এদিন সকালে কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার নওগাম সেক্টরে লাইন অফ কন্ট্রোল (এলওসি)-এ সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করেন সেনা জওয়ানরা৷ সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছিল বোঝার পরই শুরু হয় গুলিবর্ষণ৷ অনুপ্রবেশের চেষ্টা বানচাল করে দুই জঙ্গিকে খতম করে ভারতীয় সেনা৷ এই বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ই ১৯ নম্বর ইনফ্যান্টারি ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং, মেজর জেনারেল বীরেন্দ্র ভাট বলেন, ‘‘সীমান্তের ওপারে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে কমপক্ষে ২৫০ থেকে ৩০০ জঙ্গি অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় লুকিয়ে রয়েছে বলে আমাদের কাছে গোপন খবর রয়েছে৷’’
মেজর বীরেন্দ্র ভাট বলেন, এদিনও নওগামে কিছু জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছিল৷ কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে আমাদের সেনা জওয়ানরা৷ মৃত্যু হয়েছে দুই জঙ্গির৷ তবে তাদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি৷ তারা কোন জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য ছিল তা জানার চেষ্টা চলছে৷ তিনি জানান, নিহত দুই জঙ্গির কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে৷ এর মধ্যে রয়েছে ২টি একে ৪৭ রাইফেল, ১টি পিস্তল, ম্যাগাজিন, গোলাবারুদ ও কিছু গ্রেনেড। এছাড়াও ভারতীয় ও পাকিস্তানি মুদ্রায় প্রায় দেড় লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি৷ তাঁর হুঁশিয়ারি, আগামী দিনে কাশ্মীর উপত্যকায় শান্তি বিঘ্নিত করতে আরও বেশি করে জঙ্গি ঢোকানোর চেষ্টা চালাবে পাকিস্তান৷
মেজর ভাট জানান, এদিনও সীমান্তের বেড়া টপকে ভারতীয় ভূ-খণ্ডে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছিল ওই দুই সশস্ত্র জঙ্গী৷ তারা ওপারে পাকিস্তানি ফরোয়ার্ড পোস্টের পথ দিয়েই এদেশে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছিল৷ এর থেকে এটা স্পষ্ট যে, এর পিছনে সম্পূর্ণ মদত রয়েছে পাকিস্তানের৷