পাটনা: নতুন ঘটনা নয়, বছর চারেক আগে ডাইনি অপবাদে এক দলিত মহিলার মুখে প্রস্রাব করার ঘটনা ঘটেছিল বিহারের দ্বারভাঙা জেলায়। এবার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা গেল ওই রাজ্যে। এবার বিহারের মুজফফরপুর জেলা। ডাইনি অপবাদে ৩ মহিলাকে মূত্র পানে বাধ্য করার ঘটনা ঘটল। তারপর ওই মহিলাদের মস্তক মুণ্ডন করা হয় বলে সংবাদসূত্রে জানা গেছে। এই ঘটনায় জড়িত ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) তরফে তাদের টুইটার হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়। ২ মিনিট ২০ সেকেন্ডের ভিডিওটি মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ডাইনি অপবাদে এক মহিলার ওপর চড়াও হওয়ার ঘটনা ঘটে। মহিলাকে মূত্র পান করতে বাধ্য করে অপরাধীরা। এমনকী, তাঁর মস্তক মুণ্ডন করা হয় বলেও জানা গেছে।
অ্যাডিশনাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ অমিতেশ কুমার বলেন, 'সোমবার দাকরামা জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ৯ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছি আমরা।' তবে এই বিষয়ে নির্যাতিতা মহিলা বা স্থানীয় কেউ থানায় অভিযোগ করেননি বলেই জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরই পুলিশের নজরে আসে এই ঘৃণ্য ঘটনাটি। তারপর তদন্তে নামে পুলিশ। অমিতেশ কুমার আরও জানান, 'সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা খবর পেয়েই আমরা তদন্তে নামি।' মঙ্গলবার ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাব-ডিভিশনাল আধিকারিক কুন্দন কুমার এই প্রসঙ্গে বলেন, 'পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।'
এর আগে ২০১৬ সালে বিহারে এমনই ঘটনা ঘটেছিল। ওই রাজ্যের দ্বারভাঙায় এক দলিত মহিলাকে ডাইনি সন্দেহে শারীরিক অত্যাচারের ঘটনা ঘটে। এমনকী, অপরাধীরা মূত্র পান করায় বলেও অভিযোগ উঠেছিল। সন্দেহের বশে গ্রামে সালিশি সভা ডেকে এমন আচরণ করা হয়েছিল ওই দলিত মহিলার ওপর। যদিও সেবার নির্যাতিতা নিজেই অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তবে এই ধরনের ঘটনায় অপরাধীদের কঠিন শাস্তি দাবি করেছেন নেটিজেনরা।