নয়াদিল্লি: পুনের অন্যতম একটি পুরোনো বানিজ্যিক এলাকা, বুধয়ার পেঠ, দেশের বহু পতিতালয়ের মধ্যে একটি।
এই জায়গা বহু বেদনার সাক্ষী,যা সকালবেলায় নিস্ত্বব্ধ হয়ে থাকে, পথচারীর সচেতন এড়িয়ে চলায় ও প্রতিরাতে জেগে ওঠে আনাগোনা হয় বহু পথিকের।
কিন্তু, গত ২৬ বছরে সীমা ওয়াঘমোরের দৌলতে এখানে সাহস ও আশা ফিরে এসেছে। শুরুতে যে সীমা কমার্শিয়াল সেক্স ওয়ার্কারদের দুনিয়ায়বহিরাগত ছিলেন, তিনিই এখন তাদের “আজি(দিদা)” কিম্বা “মাম্মা”।
সীমা যে শুধু যৌনকর্মীদের জীবনে চোখে পড়ার মতন পরিবর্তন এনেছেন তাই নয়, তাদের সন্তানদের কাছেও বাইরের জগতে সম্মানের সঙ্গে বাঁচার স্বপ্ন আর আগের মতন অলীক কল্পনা হয়ে নেই। সীমা তার পড়াশোনা শেষের পরেই, সমাজসেবার কাজে ঝাপিয়ে পড়েন। কুষ্ঠরোগীদের মধ্যে বহু বছর কাজ করার পরে তিনি মুম্বই থেকে পুনে আসার সিদ্ধান্ত নেন, ১৯৯৩ ও নিজের সমাজসেবী সংগঠন “কায়কল্প” শুরু করেন।
সেই বছরই তিনি সরকারের HIV/AIDS চিহ্নিতকরণ ও সচেতননা বিষয়ক গবেষণার্টিমে যোগদান করেন। ফলতঃ কমার্শিয়াল সেক্স ওয়ার্কারদের মধ্যে কাজের দায়ভার কায়কল্পের ওপর ন্যস্ত হয়। এদের মধ্যে কাজ করতে গিয়ে তিনি উপলদ্ধি করেন, যে, শত শত বছরের কুসংস্কার ও সামাজিক নিপীড়ন তাদের কি মর্মান্তিক ফাঁদে ফেলে শোষন এবং অত্যাচার করে চলেছে প্রতিনিয়ত। তিনি উল্লেখ করেন, পতিতালয় তুলে দেওয়া বা শুধুমাত্র সহায়ক ঔষধীর ব্যবস্থা করাই এর যথেষ্ট প্রতিকার ঘটাবে না।
একে সার্বিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে, এবং লক্ষ্য রাখতে হবে, যাতে তারা জীবিকাহীনতায় না ভোগেন ও যথাযোগ্য সু্যোগ পান, নতুন করে শুরুর করার। ২৬ বছর ধরে পতিতাপল্লীতে অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে তিনি আজ অসংখ্য মানুষের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়েছেন। আমরা আশা রাখব, ভবিষ্যতেও তিনি এই সমাজকে নতুন দিশা দেখানো চালিয়ে যাবেন।