কলকাতা: দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে প্রায়ই রেলের প্রসঙ্গ উত্থাপন করতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে৷ নতুন মেট্রো রুট হোক বা বন্দেভারত ট্রেন, মোদীর হাতে শিলান্যাস এবং উদ্বোধনটাই এখন দস্তুর। রেলমন্ত্রী থাকেন কিছুটা সহ-অভিনেতার ভূমিকায়। প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই ২০১৪ পরবর্তী ভারতে রেল বিকাশের ছবি তুলে ধরেন। কিন্তু সেই রেলেই এখন ধুঁকছে লোকাভাবে৷ উছে আসছে ভারতীয় রেলের ধূসর ছবি৷
আরও পড়ুন- জেলে বসে পরীক্ষা, তাতেই প্রথম! তাক লাগালেন ULFA ছাত্রনেতা
কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ক্রমেই ট্রেন চালানো কঠিন হয়ে উঠছে। একদিকে, বন্দেভারতের মতো দ্রুত গতির ট্রেনের জন্য ট্র্যাক থেকে সরতে হচ্ছে ধীর গতির লোকাল, প্যাসেঞ্জার, এক্সপ্রেস ট্রেনকে। অন্যদিকে, বেশি ভাড়ার দ্রুত গতির ট্রেনকে জায়গা করে দিতে আটকে থাকছে বাকি ট্রেনের যাত্রা। আর এই সবের পিছনে আসল কারণ হিসাবে উঠে আসছে কর্মীর অভাব৷
রেলের শূন্যপদ বাড়তে বাড়তে তা তিন লক্ষ ছাপিয়ে গিয়েছে। সংসদের চলতি অধিবেশনে রেলমন্ত্রী অশ্বীনী বৈষ্ণ নিজে জানিয়েছেন, কলকাতার আদি মেট্রো-সহ ভারতীয় রেলের ১৮টি জোনে এখন ৩ লক্ষ ১ হাজার ৭৫০টি পদ ফাঁকা রয়েছে। এরমধ্যে শুধু বাংলাতেই রেলের প্রায় ৫০ হাজার পদ খালি পড়ে রয়েছে। পূর্ব রেলেই খালি রয়েছে ৩০ হাজার ৭৩৫টি পদ। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের শূন্যপদের সংখ্যা ১৭ হাজার ৯৬১টি। এদিকে, উত্তরবঙ্গে এনজিপি-সহ রেলের বিস্তীর্ণ এলাকা নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলের অধীনে রয়েছে৷ সেখানে শূন্য পদের সংখ্যা ১৬ হাজারের বেশি৷ কলকাতার আদি মেট্রোয় শূন্য পদ ১১০০ টি৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>