ইম্ফল: ভারত-মায়ানমার সীমান্তে মণিপুরের ছান্দেল জেলায় অতর্কিত জঙ্গি হানায় মৃত্যু হল ৪ অসম রাইফেল ইউনিটের তিন জওয়ানের। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও পাঁচ জওয়ান৷ তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে৷
আরও পড়ুন- রেললাইনেই থমকে যাত্রীবাহী ট্রেন, ৩৫,০০০ কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা রেলের
সংবাদসংস্থা এএনআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা ঘটনাটাই ছিল পূর্ব পরিকল্পিত৷ ছক কষেই আক্রমণ চালিয়েছে জঙ্গি সংগঠন পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)৷ প্রথমে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা৷ তারপর অসম রাইফেলসের জওয়ানদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে তারা৷
আরও পড়ুন- রাফালের পাইলটদের জন্য জি স্যুট বানালেন সৌরভ
বুধবার সন্ধ্যে সাড়ে ৬ টা নাগাদ রাজধানী ইম্ফল থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে এই হামলা চালানো হয়৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন গোপনসূত্রে খবর পেয়ে মায়ানমার সীমান্তে অবস্থিত ছান্দেল জেলায় তল্লাশি চালাচ্ছিলেন অসম রাইফেলসের ১৫ জন জওয়ান৷ সেই সময় অতর্কিতে তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়৷ এই ঘটনার পরই এলাকায় বিশাল বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে৷ জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয়েছে চিরুনি তল্লাশি৷
আরও পড়ুন- লকডাউনের আগে ছুটি নেওয়া কর্মচারীদের সুখবর শোনাল কেন্দ্র
মনে করা হচ্ছে, প্রচ্ছন্নভাবে এই জঙ্গি গোষ্ঠীকে অর্থ ও অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে মদত জোগাচ্ছে চিন৷ চিনা মদতেই উত্তর-পূর্বে নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে পিএলএ-র মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি৷ ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মতে, কয়েক দশক ধরে সীমান্ত অঞ্চলে একাধিক বিদ্রোহের নেপথ্যে ছিল চিনা মদত৷
আরও পড়ুন- এবার মূল্যায়ন হবে শিক্ষকদের! নয়া শিক্ষানীতিতে বদলে যাচ্ছে টিচার এডুকেশন
সরকারি সূত্র বলছে, স্বাধীনতার পর থেকে পিএলএ ও স্থানীয় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির অভ্যত্থানে প্রাণ হারিয়েছেন ৭৫০ জনেরও বেশি জওয়ান৷ চলতি বছরের গোড়ার দিকে পিএলএ-র ছয় জঙ্গির বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছিল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)৷ ২০১৭ সালে মণিপুরে অসম রাইফেলসের এক অফিসারকে হত্যার অভিযোগে এই চার্জশিট দেয় এনআইএ৷
আরও পড়ুন- রাফালের ককপিটে বসে ইতিহাস লিখলেন ৫ পাইলট, আসুন তাঁদের সঙ্গে পরিচয় করি
২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর মণিপুরের ছান্দেল জেলায় ফোর অসম রাইফেলসের সড়ক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়েছিল পিএলএ এবং মণিপুর নাগা পিপলস ফ্রন্ট (এমএনপিএফ)-এর জঙ্গিরা৷ এই হামলায় গুরুতর জখম হন অসম রাইফেলসের দুই জওয়ান৷ পরে মৃত্যু হয় একজনের৷ অন্যদিকে, পুলিশের পাল্টা গুলিতে খতম হয়েছিল দুই জঙ্গি৷