নয়াদিল্লি: বিগত কয়েক সপ্তাহের করোনাভাইরাস পরিসংখ্যান গতবছরের ভয়কে ছাপিয়ে চলে যাবে। ২০২০ সালের এপ্রিল মাস এবং চলতি বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ। বিগত কয়েক দিনে দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে প্রায় ১২ লক্ষের উপর। গতকাল দৈনিক সংক্রমণ ছড়িয়ে ছিল ৩ লক্ষ। আজ সেই রেকর্ড তো ভাঙলোই, নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হল দৈনিক সংক্রমণে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ৩, ৩২, ৭৩০ জন। মৃত্যু হয়েছে ২, ২৬৩ জনের। এই মুহূর্তে দেশের সংক্রমণের হার ৫.৯৩ শতাংশ কিন্তু দৈনিক সংক্রমণের হার ১৯.১২ শতাংশ! স্বাভাবিকভাবে আন্দাজ করা যাচ্ছে যে পরিস্থিতি আরো বেশি খারাপ হচ্ছে প্রত্যেক মুহূর্তে। এই মুহূর্তে দেশে মোট অ্যাক্টিভ করোনা রোগী রয়েছেন ২৪ লক্ষ ২৮ হাজার ৬১৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় তা বেড়েছে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ১৮৮ জন। করোনা মহামারী শুরু হওয়া থেকে এখনও পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে বেশি দৈনিক সংক্রমণ। পাশাপাশি এটিই বিশ্বজুড়ে কোনও দেশের সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ। পরিসংখ্যান বলছে, দেশের সবচেয়ে করোনা আক্রান্ত পাঁচটি রাজ্য হল মহারাষ্ট্র, কেরল, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ। পাশাপাশি অবস্থা খারাপ হচ্ছে রাজধানী দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গের। বাংলায় গতকাল রেকর্ড সংক্রমণ হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১২ হাজার করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জনের।
সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, এই মুহূর্তে দেশের মোট ৯-১০ রাজ্যে সংক্রমণ পরিস্থিতি লাগামছাড়া। আরও ৮-৯ রাজ্যের পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হচ্ছে। অক্সিজেনের আকাল তো রয়েছেই, তার মধ্যে অপর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের ব্যাপারটিও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্যে অক্সিজেন নিয়ে সমস্যার চিত্র একবারে সামনে উঠে এসেছে। প্রচুর রোগী শুধুমাত্র অক্সিজেনের অভাবে মারা গিয়েছেন। দিল্লিতেই গঙ্গারাম হাসপাতালে অক্সিজেনের ঘাটতির জেরেই মৃত্যু হয়েছে ২৫ জন রোগীর৷ অক্সিজেন জোগাড় না হলে সঙ্কটে পড়বে আরও ৬০ জন রোগীর জীবন৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আইসিইউ-তে ম্যানুয়াল ভেন্টিলেশন চালু করার চেষ্টা করছে৷