28 unclaimed
বালেশ্বর: সাম্প্রতিক সময়ের সবথেকে বড় রেল দুর্ঘটনার উদাহরণ হয়ে রয়েছে গিয়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ঘটনা। গত জুন মাসের এক সন্ধ্যে বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছিল দেশবাসীর জন্য। ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানাগা স্টেশনের আশপাশের এলাকা হয়ে গিয়েছিল মৃত্যুপুরী। সেই ট্রেন দুর্ঘটনায় একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়, আহতের সংখ্যাও হয় প্রচুর। অনেক দেহ শনাক্ত পর্যন্ত করা যায়নি প্রাথমিকভাবে। তেমনই ২৮টি দাবিহীন দেহের দাহ করা হল দুর্ঘটনার চার মাস পর।
ভুবনেশ্বরের এইমস সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনা পরেই ওই হাসপাতালে দু’ধাপে ১৬২ টি মৃতদেহ এসেছিল। তার মধ্যে ১৩৪টি দেহের ডিএনএ পরীক্ষা করার পর প্রকৃত দাবিদারদের হাতে সেগুলি তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু বাকি ২৮ দেহের কেউ শনাক্ত করতে পারেনি। সেই দেহগুলি এতদিন ধরে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল সেখানেই। ঘটনার চার মাস পর অবশেষে তাদের দাহ করা হল। যদিও শনাক্ত না হওয়ায় মৃতদেহের ডিএনএ সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। ভুবনেশ্বর পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মৃতদেহগুলির দাহ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। তা শেষ হয়েছে বুধবার সকালে। দেহগুলির অন্ত্যেষ্ঠীক্রিয়ার জন্য মহিলা স্বেচ্ছাসেবকরা এগিয়ে এসেছিলেন।
এও জানা গিয়েছে, সব দাবিহীন মৃতদেহ রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে দাহ করা হয়েছে এবং তার ভিডিওগ্রাফিও করা হয়েছে। দাহ করার সময়ে মৃতদেহগুলি কোন ধর্মের বা কোন জাতের সেগুলি বিবেচনা করা হয়নি।