নয়াদিল্লি: অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই দেশের করোনা চিত্রের পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ, মৃত্যু। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার থেকে ১ লক্ষ পার হয়ে গিয়েছে। আজকের তথ্য বলছে, দেশে ২১ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। সব মিলিয়ে দৈনিক আক্রান্ত দেড় লক্ষ হতেও আর বেশি বাকি নেই। পাশাপাশি বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও।
কেন্দ্রীয় বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৯৮৬ জন৷ যা গতকালের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি। একই সময় মৃত্যু হয়েছে ২৮৫ জনের। দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যা এই মুহূর্তে ৩ কোটি ৫৩ লক্ষ ৬৮ হাজার ৩৭২ এবং মোট মৃত্যু ৪ লক্ষ ৮৩ হাজার ৪৬৩। এদিকে, দেশের সংক্রমণের হার আপাতত রয়েছে ৫.১৪ শতাংশে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় তা হয়েছে ৯.২৮ শতাংশ। তবে দেশে সুস্থতার হার ৯৭.০৫ শতাংশ। অন্যদিকে তথ্য অনুযায়ী, ভারতে বর্তমানে সক্রিয় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৭২ হাজার ১৬৯ জন। কেন্দ্র জানাচ্ছে, দেশে সবথেকে বেশি করোনা আক্রান্ত এই মুহূর্তে রয়েছে মহারাষ্ট্রে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের জুন মাসে দৈনিক এক লক্ষ আক্রান্ত হওয়ার গণ্ডি পার করেছিল ভারত।
আরও একটি ভয়ানক তথ্য ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। ভারতের দু’টি গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিকাল ইনস্টিটিউট (বেঙ্গালুরু) তাদের সর্বশেষ গবেষণায় জানিয়েছে, আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শিখরে পৌঁছবে দেশের ভাইরাস সংক্রমণ এবং জানুয়ারী মাসেই দিন প্রতি ১০ লক্ষ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার প্রভাব থাকবে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। করোনার নয়া প্রজাতি ওমিক্রনই এই চরম পর্যায়ের জন্য দায়ি হবে বলে দাবি করা হয়েছে এই গবেষণায়। তবে প্রত্যেক রাজ্যে এক সময় করোনার বাড়বাড়ন্ত হবে না বলে অনুমান করা হচ্ছে। মানে, দিল্লিতে মাঝ জানুয়ারীতে সর্বোচ্চ হলেও পশ্চিমবঙ্গে সেই সময় নাও হতে পারে।