নয়াদিল্লি: সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাজনীতির ময়দানে নামল ২১ বিরোধী দল৷ সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সাফল্য যাতে মোদি শিবিরে যাতে কোনও ভাবেই চলে না যায়, তা নিশ্চিত করতে এদিন নজিরবিহীন ভাবে অভিযোগ তুললেন বিরোধীদের নেতারা৷ বুধবার ২১ দলের দীর্ঘ বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সেনার প্রশংসা করে মোদির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান রাহুল গান্ধী৷
আজ নয়াদিল্লির সংসদের অ্যানেক্স ভবনে ২১টি বিজেপি বিরোধী দলের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিরোধী নেতারা জানান, জওয়ানদের মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। রাজনীতি করছে বিজেপি। জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে রাজনীতি করা কখনই উচিত নয়। সেনাদের বলিদানকে রাজনীতির স্বার্থে ব্যবহার করছে শাসকদল বলেও অভিযোগ তোলেন তাঁরা। তাঁদের দাবি দেশের সুরক্ষার স্বার্থে রাজনীতি বন্ধ হোক। পাশাপাশি তাঁরা জানান এই বৈঠকে পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার নিন্দা ও বায়ুসেনার অভাবনীয় সাফল্যের প্রশংসা করা হয়। অন্যদিকে পাকিস্তানে আটক পাইলট অভিনন্দনের বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এই বৈঠকে।
পাকিস্তানে ঢুকে ভারতীয় বায়ুসেনা জঙ্গি ঘাঁটি গুড়ি দেওয়ার পর কেন সর্বদল বৈঠক ডাকেননি মোদি? বুধবার বিরোধী শিবিরের ২১ দলের বৈঠক শেষে এমনই অভিযোগ জানালেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী৷ দিল্লি থেকে এদিন রাহুলের দাবি, সেনা অসাধারণ কাজ করেছে৷ কিন্তু, এত বড় ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিল সর্বদল বৈঠক করে বিষয়টি জানানো৷ তবে, মোদির তরফে সর্বদল বৈঠক ডাকা না হলেও বিদেশমন্ত্রকের তরফে মঙ্গলবার সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়৷ সেই বৈঠকে বিরোধীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম৷ মঙ্গলবারের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকা বিরোধীদের তরফেই বুধবার সর্বদল বৈঠকের দাবি তুলে মোদির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়৷
এই প্রশ্ন যে ওঠার ছিল, তা একপ্রকার নিশ্চিত ছিলেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷ পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে ভোররাতে আকস্মিক ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযানে জাতীয় রাজনীতির অভিমুখ বদলে গিয়েছে। বিরোধী শিবির একযোগে ভারতীয় বায়ুসেনার জওয়ানদের অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি এই ইস্যুতে সরকারের পাশেই দাঁড়িয়েছে। এই কঠিন সময়েই মোদি হটাওয়ের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে আজ বুধবার বৈঠকে বসে বিরোধীরা।
বৈঠকে মধ্যমণি সেই মমতাই। হাজির ছিলেন রাহুল-সোনিয়া-সহ একঝাঁক বিরোধী নেতা। মোদি বিরোধিতার পরিকল্পনা তৈরির পাশাপাশি উদ্ভূত পরিস্থিতি আগামিকালের বিরোধীদের বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। মোদিকে কোণঠাসা করতে কর্মসংস্থান, রাফাল, নোটবন্দির মতো ইস্যুর পাশাপাশি পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার বিষয়টি নিয়েও সরব হয় বিরোধীরা।