বার্লিন: সোমবারই তিনদিনের বিদেশ সফরে বার্লিনে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করোনা আবহে তিন বছর পর এই প্রথম তাঁর বিদেশ সফর। এই তিনদিনের বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী যাবেন ইউরোপের তিনটি দেশ যথা জার্মানি, ডেনমার্ক এবং ফ্রান্স। সোমবার সকালে বার্লিনের প্রবাসী ভারতীয়দের উষ্ণ অভ্যর্থনার হাত ধরে শুরু হয় প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর। এরপর সোমবার সন্ধ্যায় বার্লিনের একটি কমিউনিটি হলে প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই অনুষ্ঠানেই জন্ম নিল নতুন একটি শ্লোগান। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই শ্লোগান এতটাই ভাইরাল হয়েছে যে, অনেকেই মনে করছেন ২০২৪-এর আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি দল নতুন স্লোগান হিসাবে এই ‘টোয়েন্টি টোয়েন্টি ফোর, মোদি ওয়ান্স মোর’ ব্যবহার করতে পারে।
উল্লেখ্য, বিজেপি সরকার সর্বদাই নিজের ভাবমূর্তি এবং নিত্য নতুন স্লোগানের জন্য দেশ এবং বিদেশে সমানভাবে প্রশিদ্ধ। ২০১৪ এবং ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনেও পদ্ম শিবিরকে একের পর এক লোকপ্রিয় তথা অনন্য স্লোগানের ব্যবহার করে নির্বাচনের আগে প্রচার করতে দেখা গিয়েছে। কখনও ‘আবকি বার মোদি সরকার, কখনও বা ‘মোদি হে তো মুমকিন হে’-এর মতো প্রধানমন্ত্রীর নাম এবং ভাবমূর্তিকে সামনে রেখেই নির্বাচনের প্রাক্কালে এবং পরে দেশ-বিদেশ জুড়ে চলেছে গেরুয়া শিবিরের প্রচার। এই ধরনের জনপ্রিয় শ্লোগানগুলি আবিষ্কার করতে এবং সেগুলিকে লোক মুখে ছড়িয়ে দিতে দিনরাত কাজ করেন বিজেপি দলের বিশেষ আইটি সেলের কর্মীরা। কিন্তু সম্প্রতি যে স্লোগানটি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে তাঁর স্রষ্টা কোনও আইটি সেল নয়, বরং বার্লিনে বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয়রা।
আসল বিষয়টি হল, সোমবার রাতে বার্লিনের কমিউনিটি হলে যখন প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে মঞ্চে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তখনই তাঁকে উদ্দেশ্য করে একাধিক শ্লোগান দিতে শুরু করেন প্রবাসীরা। তার মধ্যে একটি হলো ‘টোয়েন্টি টোয়েন্টি ফোর, মোদি ওয়ান্স মোর’। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও এবং তা সামনে আসতে অনেকেই মনে করছেন বার্লিনের প্রবাসী ভারতীয়দের দেওয়ার এই স্লোগান আগামী দিনে অর্থাৎ ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে ব্যবহার করতে পারে গেরুয়া শিবির। কারণ এই শ্লোগানেও প্রধান ভাবমূর্তি প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁকে কেন্দ্র করেই সচরাচর স্লোগান ব্যবহার করে থাকে পদ্ম শিবির।
তবে এই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত বিজেপি দলের কোনও নেতা মন্ত্রীকে কোনও মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর বার্লিন সফরে প্রবাসী ভারতীয়রা যেভাবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে উৎসাহ প্রকাশ করেছেন তা ছিল রীতিমতো চোখে পড়ার মতো। এই সফরে কার্যত আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে শুধু দেশে নয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিদেশে প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা আগের থেকে আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।