ক্যামেরা ট্র্যাপ প্রযুক্তিতে বন্যপ্রাণীর ছবি, গিনেস রেকর্ডে ব্যাঘ্রসুমারি

ব্যাঘ্রসুমারির তথ্য তুলে ধরে একবছর আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন। বলিউডি ঢঙে বলেছিলেন, ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’। ভারতে বাঘের সংখ্যা যে বাড়ছে, সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছিল ২০১৮ সালের ব্যাঘ্রসুমারি। এবার সেই সুমারির মাধ্যমেই নয়া রেকর্ড গড়ল ভারত। আর তা সম্ভব হয়েছে প্রযুক্তির হাত ধরেই। সমীক্ষার ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক ক্যামেরা ট্র্যাপ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বন্যপ্রাণীর প্রায় ৩ কোটি ৪৯ লক্ষ ছবি তোলা হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ৭৬ হাজারের বেশি ছবি রয়েছে বাঘের। আর তার জেরেই ভারতের নাম উঠেছে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডে।

নয়া দিল্লি: ব্যাঘ্রসুমারির তথ্য তুলে ধরে একবছর আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন। বলিউডি ঢঙে বলেছিলেন, ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’।

ভারতে বাঘের সংখ্যা যে বাড়ছে, সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছিল ২০১৮ সালের ব্যাঘ্রসুমারি। এবার সেই সুমারির মাধ্যমেই নয়া রেকর্ড গড়ল ভারত। আর তা সম্ভব হয়েছে প্রযুক্তির হাত ধরেই। সমীক্ষার ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক ক্যামেরা ট্র্যাপ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বন্যপ্রাণীর প্রায় ৩ কোটি ৪৯ লক্ষ ছবি তোলা হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ৭৬ হাজারের বেশি ছবি রয়েছে বাঘের। আর তার জেরেই ভারতের নাম উঠেছে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডে।

 

‘সেভ টাইগার’ নিয়ে চর্চা বহুদিন আগেই শুরু হয়েছে। তার ফলে ইতিবাচক প্রভাবও দেখা গেছে ব্যাঘ্রসুমারির ক্ষেত্রে। চার বছর অন্তর হওয়া সুমারির পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০১৪ সালের ব্যাঘ্রসুমারিতে ভারতে বাঘের সংখ্যা ছিল ২,২২৬। পরবর্তী অর্থাৎ ২০১৮ সালের ব্যাঘ্রসুমারিতে সেই সংখ্যা হয়েছিল ২,৯৬৭। তবে শেষ সুমারিতে ব্যবহৃত হয়েছিল বিশেষ প্রযুক্তি। বন দফতর এবং বিশেষজ্ঞরা যৌথ আলোচনার মাধ্যমে ক্যামেরা ট্র্যাপ প্রযুক্তি প্রয়োগ করেছিল এই সুমারিতে। ২৬ হাজার ৭৬০টি জায়াগায় জোড়া ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। যার মাধ্যমে সমস্ত বন্যপ্রাণী মিলিয়ে ৩ কোটি ৪৮ লক্ষ ৫৮ হাজার ৬২৩টি ছবি তোলা হয়েছে। তার মধ্যে ৭৬ হাজার ৫২৩টি বাঘের ছবি ও ৫১ হাজার ৩৩৭টি ছবি উঠেছে চিতার। এই অভিনব ব্যবস্থার জেরেই ভারতের নাম গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডে।