২০১৬-র ইন্দোর-পটনা ট্রেন দুর্ঘটনায় জঙ্গি যোগ! তদন্ত চলছে এনআইএর

কানপুর: ২০১৬ সালে মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল দেশবাসীকে৷ ইন্দোর-পটনা ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ১৫২ জন যাত্রী৷ লাইনচ্যুত হয়েছিল ১৪টি কোচ৷ এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল ন্যশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা NIAকে৷ এই ঘটনার নেপথ্যে ছিল সন্ত্রাসবাদীদের নাশকতা এমনটাই মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ তত্কালীন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু বলেছিলেন যে এটি “বাইরের লোকদের দ্বারা সম্ভাব্য অপরাধমূলক হস্তক্ষেপ” ছিল৷ এছাড়াও উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের একটি সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এটিকে “ষড়যন্ত্র” বলে অভিহিত করেছিলেন। এখনও এই ঘটনায় তদন্ত চলছে এনআইএর৷ তবে এখনও কোনও চার্জশিট দাখিল করা হয়নি৷ তবে এনআইএর মধ্যে কোনও যান্ত্রিক বিপর্যয়ের ফলে ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা৷ 

কানপুর: ২০১৬ সালে মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল দেশবাসীকে৷ ইন্দোর-পটনা ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ১৫২ জন যাত্রী৷ লাইনচ্যুত হয়েছিল ১৪টি কোচ৷ এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল ন্যশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা NIAকে৷ এই ঘটনার নেপথ্যে ছিল সন্ত্রাসবাদীদের নাশকতা এমনটাই মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ তত্কালীন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু বলেছিলেন যে এটি “বাইরের লোকদের দ্বারা সম্ভাব্য অপরাধমূলক হস্তক্ষেপ” ছিল৷ এছাড়াও উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের একটি সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এটিকে “ষড়যন্ত্র” বলে অভিহিত করেছিলেন। এখনও এই ঘটনায় তদন্ত চলছে এনআইএর৷ তবে এখনও কোনও চার্জশিট দাখিল করা হয়নি৷ তবে এনআইএর মধ্যে কোনও যান্ত্রিক বিপর্যয়ের ফলে ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা৷ 

রেলওয়ের নিরাপত্তা কমিশনারের একটি রিপোর্ট বলছে, কোচের একটি ওয়েল্ডিং ক্ষয়ে যাওয়ার ফলে লাইনচ্যুত হয়েছিল ট্রেনের কোচগুলি৷ সেইসময় ১০৬ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় গতিবেগ ছিল ট্রেনটির৷ প্রথমে দুটি কোচ লাইনচ্যুত হয় এরপর এক এক করে ১৪ টি কোচ লাইনচ্যুত হয়ে যায়৷ রাত ৩ টে ২ নাগাদ ঘটে গিয়েছিল ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা৷ কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটির এক প্রাক্তন আধিকারিক জানিয়েছেন, এনআইএ তার তদন্তের রিপোর্ট সিআরএসের কাছে জমা করেনি৷ রেলওয়ে বোর্ডেও এনআইএ তদন্তের কোনও রিপোর্ট সিআরএসকে দেয়নি৷ যার ফলে ঠিক কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছিল তা বলা বেশ শক্ত৷ তিনি আরও বলেন, এনআইএ যদি তাদের তদন্তে কোনও নাশকতার প্রমাণ পেয়ে থাকে তাহলে পুরো বিষয়টিই অন্যরকম হবে৷ 

কানপুরের ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ কী ৷ এই নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠছে ৷ তবে সেইসময় প্রাথমিকভাবে রেললাইনের ফাটলকে আসল কারণ বলে মনে করা হয় ৷ প্রাথমিক ভাবে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের বগি, যাত্রী, ট্রেনের চালক ও গার্ডকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মনে করা হয়েছিল রেললাইনে ফাটল থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনা। তবে রেললাইনে ফাটল থাকলে তা কেন চিহ্নিত হল না, তা নিয়েও সেই সময় প্রশ্ন ওঠে৷ উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের সময় এক নির্বাচনী র‍্যালিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, এটা কোনও দুর্ঘটনা ছিল না এটা ছিল ষড়যন্ত্র৷     
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × three =