নয়াদিল্লি: এই নোটে ‘চিপ’ লাগানো আছে! মাটির তলায় পুঁতে রাখলেও ধরা পড়ে যাবে! এই নোট আনা হচ্ছে কালোবাজারি রুখতে! জাল করা যাবে না এই নোট! আরো কত কী বলা হয়েছিল গোলাপি রঙের এই ২০০০ টাকা নোটের সম্পর্কে। একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ঘন্টার পর ঘন্টা এই নতুন নোট নিয়ে আলোচনা করেছিল। আর এখন নোট বন্দির পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার মাথায় সেই ‘অত্যাশ্চর্য’ ২০০০ টাকার নোটই বাতিল হওয়ার পথে। বাজার থেকে আস্তে আস্তে তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এই নোটকে।
নোট বন্দির সময় জন্ম নেওয়া এই ২০০০ টাকার গোলাপি নোট গত কয়েক বছর ধরেই বাজারে অমিল। এখন প্রায় দেখতেই পাওয়া যায় না। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিল যে এই নোট ধীরে ধীরে তুলে নেওয়া হচ্ছে বাজার থেকে। এবার আরো ব্যাপারটা স্পষ্ট হয়ে গেল যে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই হয়তো বাজার থেকে পুরোপুরি গায়েব হয়ে যাবে এই গোলাপি পাতা। আর এই সিদ্ধান্তের সবথেকে বড় কারণ হল জাল নোট! যে ২০০০ টাকার নোট জাল করা সম্ভব নয় বলে দাবি করা হয়েছিল, এখন সেই নোট সবথেকে বেশি জাল হচ্ছে বলে খবর। ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০২০ সালে উদ্ধার হওয়া জাল নোটের সংখ্যা বেড়েছে ১৯০ শতাংশ। জাতীয় অপরাধ পরিসংখ্যান ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২০ সালে ৯২.১৭ কোটা টাকা মূল্যের জাল নোট উদ্ধার হয়েছে। ২০১৮ ও ২০১৭ সালে ছিল যথাক্রমে ১৭.৯৫ এবং ২৮.১০ কোটি। বেশিটাই এই ২০০০ টাকার নোট।
নোট বন্দির পর থেকে এই নতুন নোট নিয়ে সাধারণ মানুষ ব্যাপক সমস্যায় পড়েছিল কারণ কোথাও খুচরো পাওয়া যাচ্ছিল না স্বাভাবিকভাবেই। তখন অনেকেই মনে করেছিলেন যে হয়তো ভবিষ্যতে এই নোট সার্বিকভাবে ভালো ফল দেবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার অনেক আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে, এই নতুন নোট ছাপার কোনো বরাত দেওয়া হয়নি। এখন তো আরো বেশি করে স্পষ্ট হয়ে গেল যে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া হয়তো আর কয়েক মাস বা বছরের মধ্যেই এই নোট সম্পূর্ণভাবে তুলে নিচ্ছে।