নয়াদিল্লি: গত অর্থবর্ষে দেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদি সরকার। কিন্তু এর প্রতিবাদে বিভিন্ন বিরোধী দলগুলি সরব হয়েছিল সরকারের বিরুদ্ধে। এবার আবার বেশ কয়েকটি মন্ত্রক ও সংস্থার সংযুক্তিকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্র। এতে বেশ কিছু মন্ত্রক বা সংস্থা আবার আলোর মুখ দেখতে পারে, আবার বেশ কিছু সংস্থার কফিনে পড়তে পারে শেষ পেরেক।
এই ব্যাপারে মোট ২৩১ টি সংস্থাকে পর্যবেক্ষণের আওতায় এনেছে কেন্দ্র, খবর সূত্রের৷ এই পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে ক্যাবিনেট সচিবালয়ে পাঠানো একটি সুপারিশে উল্লেখ করা হয়েছে, এই ২৩১ টি সংস্থার মধ্যে ৮৩ টি সংস্থাকে নিজের স্থানে রাখা হবে। এছাড়া ১১৭ সংস্থাকে সংযুক্ত করে ২৯টি সংস্থা গড়ে তোলা হবে এবং ২০টি সংস্থা পুরোপুরিভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে এই কার্য সম্পন্ন হলে উল্লিখিত ২৩১টি সংস্থা হয়ে দাঁড়াবে ১১১টি সংস্থায়।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সংস্থার পুনর্গঠন মোদি সরকারের কাছে কোনো নতুন বিষয় নয়। এর আগেও ২০১৬ সালের বাজেটে তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি কেন্দ্রের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মীদের পুনর্বিন্যাস করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই ঘোষণামাফিক ২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় ব্যয় নিয়ন্ত্রক কমিশন নীতি আয়োগ’কে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল এবং কমিটি গঠনও করেছিল নীতি আয়োগ।
তারপর পরবর্তী অর্থবর্ষ অর্থাৎ ২০১৮ সালে কেন্দ্রের আওতায় থাকা দুটি সংস্থা ‘রাষ্ট্রীয় আরোগ্য বিধি’ এবং ‘জনসংখ্যা স্থিরতা কোষ’ কে বন্ধ করার প্রস্তাবে সবুজ সংকেত দিয়েছিল মোদি সরকার। কিন্তু বিভিন্ন নীতির দিকে নজর রেখে এই দুটি সংস্থার পুনর্বিন্যাস ঘটানো হয় তখন। এবারেও এই সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্র তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে এই সুপারিশের মাধ্যমে এইসব সংস্থার প্রশাসনিক ব্যবস্থার উপর কেন্দ্রের প্রভাব নূন্যতম হবে এবং জনগণের অর্থ সঠিকভাবে ব্যয়ের রূপায়ণ করা হবে।