নয়াদিল্লি: ক্রমেই বাড়তে শুরু করেছে ওমিক্রনের দাপট৷ এমতাবস্থায় করোনা বিরোধী লড়াইয়ে আরও একধাপ এগোল দেশ৷ এক সঙ্গে দুটি টিকায় ছাড়পত্র দিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)৷ এই দুটি টিকা হল কোভোভ্যাক্স ও কোরবেভ্যাক্স৷ পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধ মলনুপিরাভির ব্যবহারেও অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ টুইট করে খবরটি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য।
আরও পড়ুন- কেন বন্ধ মিশনারিজ অব চ্যারিটির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট? বিবৃতি কেন্দ্রের
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, কর্বেভ্যাক্স হল ভারতে তৈরি প্রথম ‘আরবিডি প্রোটিন সাব-ইউনিট ভ্যাকসিন’। এটি তৈরি করেছে হায়দরাবাদের সংস্থা বায়োলজিকাল-ই৷ এই ভ্যাকসিনের হাত ধরেই টিকা তৈরিতে ভারতের হ্যাটট্রিক হল৷ কর্বেভ্যাক্স ভারতে তৈরি তৃতীয় টিকা। প্রসঙ্গত, আমাদের দেশে এমআরএনএ ভ্যাকসিন বলে কিছু নেই। আরবিডি প্রোটিন সাব-ইউনিট ভ্যাকসিন সেই কাজটা কিছুটা করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ সেক্ষেত্রে কর্বেভ্যাক্সের নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে, ন্যানোপার্টিকাল ভ্যাকসিন কোভোভ্যাক্স তৈরি করছে পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। কলকাতায় স্কুল অব ট্রপিক্যালে এর ট্রায়ালও চলছে৷ উল্লেখ্য, এই টিকা দুটিই কেন্দ্রীয় সংস্থার বিশেষজ্ঞ প্যানেলের বিবেচনাধীন ছিল। সোমবারই তা চূড়ান্ত ছাড়পত্রের জন্য পাঠায় বিশেষজ্ঞ প্যানেল৷
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য টুইট করে আরও জানিয়েছেন, অ্যান্টি ভাইরাল মলনুপিরাভির এবার থেকে তৈরি করবে দেশের ১৩টি সংস্থা৷ তবে এর ব্যবহারের উপর বিধিনিষেধ থাকবে৷ জরুরি অবস্থায় কোভিড আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার করা যাবে। মলনুপিরাভির হল ওরাল অ্যান্টি ভাইরাল ড্রাগ। এটি কোনও ভ্যাকসিন নয়। যেভাবে কোনও ভাইরাল সমস্যায় যে ভাবে ওষুধ খাওয়া হয়, সেভাহবেই মলনুপিরাভির দেওয়া হবে৷
প্রসঙ্গত, সারা দেশ যখন তৃতীয় ঢেউয়ের সম্মুখীন তখন, আরও দুটি টিকায় ছাড়পত্র দিল কেন্দ্র৷ মনে করা হচ্ছে জানুয়ারির শেষ কিংবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে করোনা সংক্রমণ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছবে৷ ইতিমধ্যেই দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে৷ তার আগে জোড়া টিকায় ছাড়পত্র নিশ্চিতভাবেই তাৎপর্যপূর্ণ৷