জম্মু: বেশ কয়েকদিন ধরে জঙ্গিদের উপদ্রবে উপত্যকা অশান্ত থাকার পর বুধবার জঙ্গি নিধনে বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার রাতভর লড়াইয়ের পর জম্মু-কাশ্মীর উপত্যকায় দুই জঙ্গি নেতাকে নিকেশ করতে সক্ষম হয়েছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। এই দুই জঙ্গিই লস্কর-ই-তৈবার সদস্য এবং তাদের হাতেই গতমাসে উপত্যকার এক কাশ্মীরি পন্ডিতসহ দুজন খুন হয়েছিলেন। মৃতদের মধ্যে একজন স্কুল শিক্ষিকা এবং ব্যাংক ম্যানেজার। কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতভর দুই পক্ষের লড়াইয়ের পর এই দুই অভিযুক্তকে খতম করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে বুধবার সকালে কাশ্মীর জোনের পুলিশের পক্ষ থেকে একটি টুইট করে জানানো হয়েছে, মৃত ওই দুই লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিদের একজনের নাম মোহাম্মদ লোন। এই জঙ্গীই চলতি মাসের ২ তারিখ কুলগামের এক ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে খুন করে। খতম হওয়া আরও একজনের পরিচয় যদিও এখনও জানানো হয়নি পুলিশের তরফ থেকে। তবে কাশ্মীর পুলিশ মঙ্গলবারের এই অভিযান প্রসঙ্গে জানিয়েছে যে, এই দুই জঙ্গি আগামীতে আরো বড় নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। কিন্তু গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই তল্লাশি অভিযান শুরু করেন নিরাপত্তা বাহিনী। পুলিশ এবং সেনার উপস্থিতি টের পেয়েই নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে যখন জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে তখন পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। এই গুলিবিনিময় চলাকালীনই ওই দুই জঙ্গি নিকেশ হয়েছে বলে বাহিনী সূত্রে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে নিরাপত্তা বাহিনীর আরও একটি অভিযানে কুলগামের পুজারি গ্রামে এক সন্ত্রাসবাদি খতম হয়েছে বলে খবর। গত ৫ জুন ওই জঙ্গী কাশ্মীরি পন্ডিত এক স্কুল শিক্ষিকাকে স্কুলের ভিতরে ঢুকে গুলি করে মারার ঘটনায় যুক্ত ছিল।
উল্লেখ্য গত কয়েকদিন ধরে উপত্যাকায় একের পর এক ওমুসলিম সম্প্রদায় বিশেষ করে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যার ঘটনায় কার্যত উত্তপ্ত বিভিন্ন এলাকা। একদিকে যখন জঙ্গিদের ভয়ে বহু কাশ্মীরি পন্ডিত পরিবার উপত্যকা ছাড়তে শুরু করেছেন, তখন অনেকেই নিরাপত্তার দাবিতে পথে বসে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। কিন্তু মঙ্গলবারের এই নিরাপত্তা বাহিনীর সাফল্য কিছুটা হলেও বিক্ষোভের আঁচ কমাতে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন সেনা আধিকারিকদের একাংশ।