মুম্বই: নিজামুদ্দিনে ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই আত্মগোপন করে রেখেছিলেন জামাতে অংশগ্রহণকারী৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছিলেন তাঁরা৷ জামাতে অংশগ্রহণকারী অনেকের শরীরেই করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে৷ তাই লুকিয়ে জামাত অংশগ্রহণকারীদের করোনা আক্রান্তের সম্ভাবনা প্রবল দেখা দিয়েছে৷ সেখান থেকে ছড়াতে পারে অনেকের৷ শুধু কল রেকর্ডকে ভরসা করে মুম্বই ও তার আশেপাশের থেকে ১৮৮৫ জনকে শনাক্ত করল মহারাষ্ট্র প্রশাসন৷
ফোন রেকর্ডকে হাতিয়ার করে মুম্বই ও আশেপাশের এলাকা থেকে ১৮৮৫ জন তবলিগ-ই-জামাত যোগ ব্যক্তির উপস্থিতি শনাক্ত করতে পেরেছে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র বিভাগ। এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ বলেন, ‘সেল টাওয়ার থেকে আমরা তাদের অবস্থান পেয়েছি। ১,৮৮৫ জনের মধ্যে ১,৮২৬ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং ৫৯ জনকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে মুম্বইয়ের যারা এই অঞ্চলে ছিলেন তাদের মধ্যে ৮২৪ জন কোনওভাবেই এই বৈঠকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না।’ এর পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যে ব্যক্তিরা এখনও সামনে এসে ফোন বন্ধ রেখে লুকিয়ে আছেন, তারা যদি স্বেচ্ছায় সামনে না আসেন তাহলে প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এখনও পর্যন্ত দেশের ২৩ টি রাজ্যে ১৩৫০ জন জামাত যোগ ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। সরকারের অনুমান দেশ জুড়ে প্রায় ২ হাজার মানুষ তাবলিগ-ই- জামাতের নিজামুদ্দিন মারকাজে যোগ দিয়েছিলেন। কেরল ও মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে শুরু করেছিল প্রথম দিকে৷ কিন্তু কেরল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে এলেও মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হতে শুরু করেছে৷ মহারাষ্ট্রে শুধু বৃহস্পতিবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৬২ জন৷ তার মধ্য ১৪৩ জন মুম্বইয়ের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে৷ মহারাষ্ট্রের মধ্যে সব থেকে খারাপ পরিস্থিতি মুম্বইয়ের৷ মহারাষ্ট্রে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১২৯৭ বলে জানা গিয়েছে৷ অন্য দিকে অন্ধ্রপ্রদেশে গত ১২ ঘণ্টায় নতুন করে কারও শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে৷