বিদ্রোহের মধ্যেই কৃষকদের জন্য ১৮,০০০ কোটির ‘উপহার’ ঘোষণা কেন্দ্রের

ঘোষণার পরেও নতুন কৃষি বিল আইনের বিরোধিতা এতোটুকু খামতি আসেনি

 

নয়াদিল্লি: ২৫ ডিসেম্বর দেশের ৯ কোটি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনার‌ ১৮,০০০ কোটি টাকা! গোটা দেশজুড়ে যখন কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন কৃষি আইনের বিরোধিতা আন্দোলন চলছে কৃষকদের, তখন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নগেন্দ্র সিং তোমার এই ‘উপহারের’ কথা ঘোষণা করলেন। যদিও এই ঘোষণার পরেও নতুন কৃষি বিল আইনের বিরোধিতা এতোটুকু খামতি আসেনি এবং তাদের দাবি নিয়েই অনড় দেশের কৃষকরা।

এদিন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নগেন্দ্র সিং তোমার জানান, প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনার ১৮,০০০ কোটি টাকা আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশের ৯ কোটি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌছে যাবে। এর জন্য ইতিমধ্যেই ২ কোটি কৃষক এই অনলাইন ইভেন্টের জন্য নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণার পরেও কৃষক আন্দোলনের আঁচে এতোটুকু খামতি নেই। বরং তাদের তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আন্দোলনরত কৃষকরা কেন্দ্রীয় সরকারের যে প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে তা যেন পুনরায় বলা না হয়। তারা শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনায় আসতে চায় এবং আশা করে সরকার তাদের কথা শুনবে।

 

এই প্রসঙ্গে স্বরাজ ইন্ডিয়ার যোগেন্দ্র যাদব কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে কৃষকদের তরফ থেকে লেখা চিঠি পড়তে গিয়ে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে তারা আশ্বস্ত করছেন যে কৃষক এবং আন্দোলনরতরা তাদের সঙ্গে আলোচনায় রাজি। এখন শুধু তারা কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপের জন্য অপেক্ষা করছেন। তিনি আরো জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার বারবার এমন কিছু সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করছে যাদের সঙ্গে এই আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই। এভাবে কৃষকদের বিদ্রোহকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে অভিযোগ তোলা হয়েছে, বিরোধী পক্ষের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে আচরণ করে, আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে একইভাবে আচরণ করছে। 

 

 

অন্যদিকে ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে বলা হয়, কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে আলোচনার প্রক্রিয়া ব্যাহত করার চেষ্টা করছে সেটা দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে তারা এই আন্দোলন এবং কৃষকদের বিদ্রোহকে দমিয়ে রাখার উদ্যোগ নিচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের এই আন্দোলনকে একেবারেই গুরুত্ব দিচ্ছে না। এই প্রসঙ্গে তাদের তরফ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, যত শীঘ্র সম্ভব যদি এই বিষয়ে আলোকপাত না করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে আরও বড় রকমের আন্দোলন দেখবে দেশ। 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *