মুম্বই: কোভিড পরিস্থিতিতে এক অজানা অভিজ্ঞতার সম্মুখীন মানুষ৷ আচমকা লকডাউনে যেমন টান পড়েছে পকেটে, তেমনই শুরু হয়েছে করোনার সঙ্গে এক অসম লড়াই৷ এই দুঃসময়ে মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে মানুষ৷ শুধু প্রবীণরা নয়, এগিয়ে এসেছে তরুণরাও, একমকী খুদেরাও৷ যে যেমন ভাবে পেড়েছে, বাড়িয়ে দিয়েছে সাহায্যের হাত৷ এমনই এক ছোট ছেলের মহানুভবতার সাক্ষী থাকল বাণিজ্যনগরী৷ নিজের জমানো পকেটমানি দিয়ে পিপিই কিট, খাদ্যশস্য আর হ্যান্ড স্যানেটাইজার কিনে গরিব মানুষের হাতে তুলে দিলেন বছর ১৭-র ছেলে হুসেন জাকির৷
মহারাষ্ট্রে একপ্রকার জাঁকিয়ে বসেছে করোনা৷ প্রতিদিনই রেকর্ড হারে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা৷ এমনকী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশকর্মীরাও৷ এই বিষয়টি নাড়া দিয়ে যায় জাকিরকে৷ নিজের জমানো ১৫ হাজার টাকা পকেটমানি দিয়েই কিনে ফেলেন পিপিই, কিছু খাদ্যশস্য এবং হ্যান্ড স্যানেটাইজার৷ তারপর গরিব মানুষদের মধ্যে তা বিতরণ করে দেন জাকির৷ তাঁর এই উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হয়ে এগিয়ে আসেন হুসেন জাকিরের এক বন্ধুও৷
জাকিরের বাবা বলেন, ‘‘একদিন জাকির খুব হতাশ হয়ে আমাকে বলল, বাবা আমাকে সাহায্য করবে? আমি ওকে সাধ্যমতো সাহায্য করি৷ আমি ওর কাজে খুবই গর্বিত৷ এত ছোট বয়সে ও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা ভেবেছে, এটা ভেবেই ভালো লাগছে৷’’
জাকিরের এই উদ্যোগে উচ্ছ্বসিত এলাকার মানুষও৷ রোটাব়্যাক্ট ক্লাবের পক্ষ থেকে তাঁকে সম্মান জানিয়ে ক্লাবের প্রেসিডেন্ট করা হয়েছে৷ ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘‘১৭ বছরের হুসেন জাকিরই রোটাব়্যাক্ট ক্লাবের কনিষ্ঠতম প্রেসিডেন্ট৷’’ ওই এলাকার এক ওয়াচম্যান বলেন, ‘‘কোভিড-১৯ রোগের কথা প্রথম জানার পর আমরা খুবই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম৷ আমাদের পক্ষে বাড়ি ফেরারও সম্ভব ছিল না৷ এখানে থাকাটাও কষ্টকর হয়ে উঠছিল৷ জাকির এই বিষয়টা জানার পরই আমাকে একটা পিপিই কিট, খাদ্যশস্য আর হ্যান্ডস্যানেটাইজার দিয়ে যায়৷ এত অল্প বয়সে ও আমাদের কথা ভেবেছে, পাশে দাঁড়িয়েছে, এতে আমরা খুবই আনন্দিত৷’’