যোধপুর: এ যেন কোনও হিন্দি সিনেমার দৃশ্য৷ কারারক্ষীদের চোখে লঙ্কাগুঁড়ো ছিটিয়ে পালাল ১৬ জন বন্দি। সোমবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের যোধপুর জেলার ফালোড়ি জেলে। পলাতকদের খুঁজতে ইতিমধ্যেই বিরাট বড় তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে খাওয়ার সময় ওই কয়েদিরা খাবার ঘরে জড়ো হয়েছিল ৷ সেসময় সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন একজন মহিলা পুলিশকর্মী ৷ প্রথমে তাঁকে লক্ষ্য় করে লঙ্কার গুঁড়ো ছোড়ে জেল পলাতকরা ৷ সঙ্গে সঙ্গে ওই মহিলা পুলিশকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ এরপর সেখান থেকে লঙ্কা গুঁড়ো নিয়ে উপস্থিত অন্য় পুলিশ কর্মীদেরও ছোড়া হয় এবং তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়লে পালিয়ে যায় ১৬ জন বন্দি ৷ পরিকল্পনামাফিক সেসময় সংশোধনাগারের বাইরেই পলাতক বন্দিদের জন্য অপেক্ষা করছিল একটি স্করপিও৷ তারা সেটা চড়েই পালিয়ে যায় বলে খবর৷ পলাতকরা সকলেই নারকোটিক ড্রাগ কেসে অভিযুক্ত ৷ তাদের মধ্য়ে তিনজনের বাড়ি উত্তরপ্রদেশে ৷ বাকিদের বাড়ি ফালোড়ি, বাপ এবং লোহায়োত এলাকায়৷
ফালোড়ির ডেপুটি কালেক্টর যশপাল আহুজা জানিয়েছেন, হইচই শুনে তিনি সেখানে ছুটে গিয়ে দেখেন, শাকসবজি ছড়িয়ে ছিটিয়ে মেঝেতে পড়ে রয়েছে। এক মহিলা পুলিশকর্মী যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। কী হয়েছে জিজ্ঞাসা করায় গার্ডটি জানান, পাঁচ থেকে সাতজন কয়েদি লঙ্কার গুঁড়ো এবং সবজি ছুড়ে জেল থেকে পালিয়েছে। আহুজা তাড়াতাড়ি স্থানীয় থানার অফিসার এবং জেলা কালেক্টরকে খবর দেন। ঘটনার পরই জেলের ডিজি রাজীব দাসোট ফালোড়ি জেলে যান এবং সংবাদসংস্থা আইএএনএসকে জানান, এই ঘটনায় তড়িঘড়ি চারজন কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং ঘটনাটির তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে ডেপুটি আইজি সুরেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের হাতে৷ এই বিপর্যয়ের খবর পেয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসকও ঘটনাস্থলে এসে হাজির হন। আশেপাশের প্রতিটা থানায় জেল পালানোর খবর দিয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বাস এবং অন্যান্য গণ পরিবহনগুলিতে তল্লাশি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী কয়েদিরা পালিয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত না হলেও জেলকর্মীদের গাফিলতি সম্পর্কে নিশ্চিত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও যোধপুরের বিজেপি সাংসদ গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত পুরো ঘটনার জন্য় রাজ্য় সরকারকে দায়ী করেছেন৷