আক্রান্ত ১৫০-র বেশি পড়ুয়া! হরিয়ানার স্কুলে ভাইরাস থাবা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরে কি অবস্থা হতে পারে, তার একটা উদাহরণ রাখল হরিয়ানা।

চণ্ডীগড়: দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এখনো পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তারমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বেশ কয়েকটি রাজ্য। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার আগে স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া একেবারেই যুক্তিযুক্ত হবে না বলে ধারণা অধিকাংশের। ভাইরাস আবহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরে কি অবস্থা হতে পারে, তার একটা উদাহরণ রাখল হরিয়ানা। জানা গিয়েছে রাজ্যের একটি সরকারি স্কুলের কমপক্ষে ১৫০ জন ছাত্রছাত্রীর শরীরে পাওয়া গিয়েছে করোনাভাইরাস।

হরিয়ানার একটি বেসরকারি স্কুলে ১৫০-রও বেশি ছাত্র-ছাত্রী আক্রান্ত হয়েছে মারণ করোনাভাইরাসে। শিক্ষা দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, যারা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের অধিকাংশ নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর; তাদের মধ্যে বেশিরভাগই উপসর্গহীন। সেই কারণে তাদের হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। জানা যাচ্ছে গত তিনদিনে রেওয়ারি, জিন সহ বেশ কয়েকটি জেলার স্কুলে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস আতঙ্ক। স্কুল সূত্রে খবর, ১৫০ জন পড়ুয়া ছাড়া আরো অনেকের রিপোর্ট এখনো আসেনি। তাদের রিপোর্টে যদি পজেটিভ আসে তাহলে আতঙ্ক আরো বাড়বে। কবে পরিস্থিতিতে দিকে এগোচ্ছে তাতে বাকিদেরও রিপোর্ট পজেটিভ আসার আশঙ্কা বেশি। এক্ষেত্রে পরবর্তী কিছুদিন স্কুল গুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে হরিয়ানা প্রশাসন। 

আক্রান্তরা ছাড়াও যারা আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছিলেন তাদের সকলকে নিজেদের স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেককেই আপাতত হোম আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, প্রত্যেককেই নিয়মমাফিক ভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। যে সমস্ত স্কুলে প্রধানত ভাইরাস ধরা পড়েছে, সেগুলি তো বটেই, রাজ্যের অন্যান্য স্কুলগুলি কেউ আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৫,৫৭৬ জনের শরীরে মিলেছে করোনাভাইরাস। নয়া সংক্রমণে মোট আক্রান্তের সংখ্য়া হয়েছে ৮৯,৫৮,৪৮৩ জন। এখনও চিকিত্‍‌সাধীন রয়েছেন ৪,৪৩,৩০৩ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮৩,৮৩,৬০২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪৮,৪৯৩ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে সুস্থতার হার ৯৩.৫৮%।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *