জম্মু: গত বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীরের নাগরোটার বান টোলপ্লাজার কাছে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই হয় জঙ্গিদের। সেইগুলি লড়াইয়ে খতম করা হয় চারজন সন্ত্রাসবাদীকে। এই হামলার পেছনে পাকিস্তানের যোগ রয়েছে বলেই স্পষ্ট ধারণা পেয়েছে গোয়েন্দারা। এবার সেই ধারণা আরো বিশ্বাসে পরিণত হল কারণ, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তান থেকে প্রায় ১৫০ ফুট লম্বা সুড়ঙ্গের খোঁজ মিলেছে! অনুমান করা হচ্ছে, এই সুড়ঙ্গ দিয়ে ভারতে প্রবেশ করছিল পাক মদতপুষ্ট জইশ জঙ্গিরা। এর আগে পাকিস্তান রেঞ্জার্সের চকভুরায় খোঁজ মিলেছিল ২০ ফুট গভীর সুড়ঙ্গের।
বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে এই সুরঙ্গ ব্যবহার করেই ভারতে প্রবেশ করেছে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীরা। এমনকি জানা গিয়েছে, ঐ সুরঙ্গ পথ এর সঙ্গে সাম্বা এবং রাজৌরি সেক্টরের যোগ রয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, এই সুড়ঙ্গের ওপারেই রয়েছে জইশ ক্যাম্প। এমনকি এও ধারণা, নাগরোটা এলাকাতেও এই জঙ্গিরা ঐ সুরঙ্গ পথ দিয়েই এসেছে। তাদের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, গোয়েন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, এখনো কমপক্ষে ১৪ জন প্রশিক্ষিত জঙ্গিকে ধাপে ধাপে ভারতে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে জইশ-ই-মহম্মদ। অনুমান, নাগরোটা এনকাউন্টারে খতম চারজন সন্ত্রাসবাদী তাদের অন্যতম। এখন নির্দিষ্ট বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের অনুমান এইরকম সুরঙ্গ আরো কয়েকটি মেলার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তান রেঞ্জার্সের চকভুরার সুরঙ্গের গভীরতা প্রায় ২০ ফুট এবং তিন ফুট চওড়া। সুড়ঙ্গের মুখ প্রায় ১.৫ ফুট চওড়া। সুড়ঙ্গের মুখ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বালির বস্তা। তাতে লেখা ছিল ‘অ্যাঙ্গরো ফার্টিলাইজার, করাচি, পাকিস্তান’। নাগরোটা এনকাউন্টারের পর জঙ্গিদের থেকে উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র, গোলাবারুদ, গ্রেনেড এবং বিস্ফোরক। এছাড়াও ১১ টি একে-সিরিজের রাইফেল, ৩০ টি চিনা গ্রেনেড, ১৬ টি একে ধরনের গোলাবারুদ এবং ২০ কিলোগ্রাম আরডিএক্স উদ্ধার করা হয়।