নয়াদিল্লি: ‘মেড-ইন-চায়না’র আড়ালে কি চরবৃত্তি করছে চিনা সংস্থা? অন্তত এমনই আশঙ্কা করছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা৷ এবার আর ঝুঁকি না নিয়ে ভারতে লগ্নিকারী চিনা সংস্থাগুলিকে কড়া নজরে রাখছেন গোয়েন্দাবাহিনী৷
গলওয়ানে সীমান্ত সংঘর্ষের পরবর্তী সময় থেকে চিনের হ্যাকারগোষ্ঠী অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে উঠেছে৷ সামরিক ভাণ্ডারে দিকে নজর রয়েছে এই হ্যাকারগোষ্ঠীর৷ যা সামরিক কৌশলে বড় হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির৷ এমন সম্ভাবনা থেকে মাঠে নামে পড়েছে গোয়েন্দারা৷ সন্দেহের তালিকায় থাকা গাড়ি ও মোবাইলের যন্ত্রাংশ নির্মাণকারী সংস্থাগুলির দিকে নজর বাড়তে শুরু করেছে৷
ভারতের অভ্যন্তরীণ তথ্য হাতাতে পারে চিনা সংস্থা, সেই তথ্য কাজে লাগাতে পারে চিন৷ আর সেই আশঙ্কা থেকে চিনা সংস্থার কড়া নজরদারি রাখছেন গোয়েন্দারা৷ তালিকায় রয়েছে ১৫টি সংস্থা৷ ইতিমধ্যেই তাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে৷ ওই সংস্থাগুলিতে কারা আসছেন, তাঁরা কী করেন, উদ্দেশ্য কী? সমস্ত বিষয়ে তথ্য জোগাড় করা হচ্ছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে৷ পরিস্থিতি বেগতিক হলে চিনা সংস্থাগুলিকেও নিষিদ্ধ করা হতে পারে৷
গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, গাড়ি থেকে শুরু করে মোবাইল কিংবা পাওয়ার সেক্টরের সঙ্গে জড়িত একাধিক চিনা সংস্থা সেদেশের ফৌজের বিভিন্ন কাজে যুক্ত৷ তারা আবার চিনের প্রতিরক্ষা সামগ্রীও তৈরি করে৷ আর সেই কারণে সংস্থাগুলির কর্তাদের সঙ্গে চিনা বাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের যোগাযোগ বেশ ভালো বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা৷ ফলে, ওই চিনা সংস্থাগুলির উপর কড়া নজর রাখছে ভারত৷