নয়াদিল্লি: নদীয়ার ছেলেটা, কিংবা রায়গঞ্জের ছেলেটা ডায়মন্ড প্রিন্সেস ক্রুজে কর্মরত ছিল। করোনাভাইরাসে তাদের ক্রুজের অনেকে আক্রান্ত হয়েছিল। প্রাণভয়ে তারা সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হয়েছিল। তারা জানিয়েছিল, কোনওভাবে তাদের উদ্ধার করা হোক। সোশ্যাল মিডিয়ায় আকুতি তাদের পরিবারের দুশ্চিন্তা রাজ্যবাসীর মনে দানা কেটেছিল। সেই দুশ্চিন্তাকে আরও বাড়িয়ে জাপানের ভারতীয় দূতাবাস সোমবার একটা টুইট করেছে। সেখানে জানানো হয়েছে, দুপুরেরই পরীক্ষার ফলাফল বেরিয়েছে।
সেখানে ডা্য়মন্ড প্রিন্সেস ক্রুজের চার ভারতীয় কর্মীর শরীরে করোনা ভাইরাসের সন্ধান মিলিছে। যার জেরে হিসেব দাঁড়ালো, করোনাভাইরাসের ওই ক্রুজে মোট ১২ জন ভারতীয় আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও জাপানে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, আক্রান্তরা চিকিৎসায় সারা দিচ্ছে। কিন্তু তাতে কী পরিবারে দুশ্চিন্তা যায়। ভারতীয় দূতাবাসের তরফে আক্রান্তদের নাম এখনও প্রকাশ করেনি বলে জানা গিয়েছে।
জাপানের দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, সম্পূর্ণ রেজাল্ট আসতে ফেব্রুয়ারির ২৬ তারিখ হয়ে যাবে। তাতেই বোঝা যাবে ঠিক কতজন ভারতীয় ক্রুজে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে যাঁরা এখনও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি, যত দ্রুত সম্ভব ভারতে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে বলেও ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে।
চিনে করোনাভাইরাস মহামারীর আকার ধারণ করেছে। ইতিমধ্যে চিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ২৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের বেশিরভাগ উহানের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। এই মহামারীকে কোনওভাবেই আটকানো যাচ্ছে না। চিন প্রশাসনের সমস্ত চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিনের পর দিন মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। আক্রান্তদের সেবা করতে গিয়ে শতাধিক স্বাস্থ্যকর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।