নয়াদিল্লি: বিগত কয়েক মাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকার পর করোনার হাত ধরে দেশের দুঃসময় যে ফিরছে তা এক প্রকার স্পষ্ট। গত সপ্তাহ থেকে ফের উর্দ্ধমুখী করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। এক্ষেত্রে সবথেকে বেশি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মহারাষ্ট্র। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে যেখানে মহারাষ্ট্র দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা হাজারও ছিল না সেটাই এখন তিন হাজারের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে। মহারাষ্ট্রের মধ্যে আবার সব থেকে খারাপ অবস্থা বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ের। কেন্দ্রের হিসাব বলছে বিগত কয়েক দিনে শুধুমাত্র মুম্বইতেই করোনার পজিটিভিটি রেট বেড়েছে ১২.৭৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় মুম্বাইয়ে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৫৬, গোটা মহারাষ্ট্রে ২৯২২। অন্যদিকে একই ভাবে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে কেরলের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। কত একদিনে কেরলে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৪৭১। আর এই সবকিছু মিলে দেশে এক ধাক্কায় করোনার মোট দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮৫৮২।
তবে গত কয়েকদিনে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা লাগামছাড়া হারে বাড়তে শুরু করলেও করোনার দৈনিক মৃত্যু কিন্তু আগের থেকে অনেকটাই কম। গত একদিন দেশে মাত্র চারজন করোনার বলি হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। মৃত এই চারজনের মধ্যে তিনজন কেরলের বাসিন্দা এবং একজন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা বলে কেন্দ্রের রিপোর্ট সূত্রে খবর। অন্যদিকে এদিন করোনামুক্ত হয় একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৪৩৫ জন। আগের দিনও থেকে বেশ কিছুটা বেড়েছে সুস্থতার সংখ্যা এবং হার।
তবে সুস্থতার সংখ্যা যতই বৃদ্ধি পাক না কেন এই মুহূর্তে বিশেষজ্ঞদের সবথেকে বেশি চিন্তা কারণ দেশের করোনার পজিটিভিটি রেট। এর আগেই বলা হয়েছে মুম্বইয়ের পজিটিভিটি রেট বিগত কয়েকদিনে মাত্রাছাড়া হারে বেড়ে ১২.৭৪ শতাংশ হয়েছে। তবে একা মহারাষ্ট্র নয়, মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি কেরল, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, তেলেঙ্গানা, এমন কি আমাদের রাজ্য পশ্চিমবাংলাতেও করোনার দৈনিক সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন। এর জেরে বৃদ্ধি পাচ্ছে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যাও। কেন্দ্রের হিসেব বলছে এই মুহূর্তে দেশের অ্যাক্টিভ কেস দাঁড়িয়ে রয়েছে ১০.৩ শতাংশে। যা সংখ্যায় ৪৪,৫১৩। একদিনে দেশের অ্যাক্টিভ কেস বেড়েছে ৪১৪৩।