নয়াদিল্লি: করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের সম্ভাবনাকে উস্কে দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই ভয়াবহ হারে বাড়ছে দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। বৃহস্পতিবারও জারি থাকল সেই ধারা। কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী এদিন দেশে এক ধাক্কায় ৩৮ শতাংশ বেড়েছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ। ফলে এক লাফে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ১২ হাজারের ঘরে, যা চলতি বছরে ফেব্রুয়ারির পর এই প্রথম। উল্লেখ্য ফেব্রুয়ারি মাসেও কিন্তু ওমিক্রনের হাত ধরে দেশজুড়ে চলছিল করোনার তৃতীয় ঢেউ। তার ঠিক ১১১ দিন পর ফের দেশের দৈনিক সংক্রমণ পৌঁছল ১২ হাজারের ঘরে।
অন্যদিকে কেন্দ্রের রিপোর্টে জানা যাচ্ছে এদিন মহারাষ্ট্রে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজারের গণ্ডি পার করেছে ও কেরলের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার ছুঁই ছুঁই। এছাড়াও কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, হরিয়ানা, তেলেঙ্গানা, বাংলা, গুজরাটের মতো একাধিক রাজ্যে কার্যত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে ৪০২৪ দৈনিক সংক্রমণ নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। দ্বিতীয় স্থানে অবস্থিত কেরালে দৈনিক আক্রান্তের পরিমাণ ৩৪৮৮। অন্যদিকে দৈনিক সংক্রমণের হার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়ে তৃতীয় চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে অবস্থান করছে দিল্লি, হরিয়ানা ও কর্ণাটক। এই তিন রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ১৩৭৫, ৬৪৮ ও ৫৯৬ জন।
অন্যদিকে গত একদিন দেশে করোনার বলি হয়েছেন ১১ জন। ২৪ ঘন্টায় মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে দুজনের, কেরলে মারা গিয়েছেন তিনজন। এছাড়াও কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, বাংলা, গুজরাট, উত্তরাখান্ড এবং হিমাচল প্রদেশে একজন করে করোনার বলি হয়েছেন। তবে এদিন দৈনিক সুস্থতার হার অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। কেন্দ্রের হিসেব অনুযায়ী গত একদিন এদেশে করোনামুক্ত হয় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৬২৪, যা গতকাল অর্থাৎ বুধবারের থেকে অনেকটাই বেশি।
তবে দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের করোনার অ্যাক্টিভ কেস ও পজিটিভিটি রেট এই মুহূর্তে চিকিৎসকদের সবথেকে বড় উদ্বেগের কারণ। কেন্দ্রের হিসাব বলছে দেশে করোনার অ্যাক্টিভ কেস বৃহস্পতিবার বেড়ে হয়েছে ৫৮ হাজার ২১৫। শুধুমাত্র ২৪ ঘন্টাতেই দেশে অ্যাক্টিভ কেসের পরিমাণ বেড়েছে ০.১৩ শতাংশ। অন্যদিকে এই মুহূর্তে দেশে করোনার পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়ে রয়েছে ২.৪ শতাংশে।