সাময়িক স্বস্তি! এক ধাক্কায় ১১ হাজারে নামল দেশের দৈনিক করোনার সংক্রমণ

সাময়িক স্বস্তি! এক ধাক্কায় ১১ হাজারে নামল দেশের দৈনিক করোনার সংক্রমণ

53be31fe69d7c55be2a645bb7361b982

নয়াদিল্লি: দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সপ্তাহভর উদ্বেগের পর চলতি সপ্তাহের শেষ দিনে সাময়িক স্বস্তি দিল দেশের করোনা গ্রাফ। জানা যাচ্ছে, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে এবং এক ধাক্কায় করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমে ১১ হাজারের গন্ডিতে প্রবেশ করেছে। রবিবার সকালে প্রকাশিত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, দেশে গত এক দিনে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৭৩৯ জন। গতকাল অর্থাৎ শনিবার আক্রান্তের এই সংখ্যাটিই দাঁড়িয়েছিল ১৬ হাজারের কাছাকাছি। তবে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা কমলেও এখনও উদ্বেগজনক পর্যায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে দেশে করোনার অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা। জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই করোনার অ্যাক্টিভ কেসের হার ০.২১ শতাংশ বেড়েছে, যা সংখ্যায়  ৯২ হাজার ৫৭৬। একইভাবে বেড়েছে করোনার পজিটিভিটি রেটও। আজ অর্থাৎ রবিবার দেশের পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়ে রয়েছে  ৩.৪ শতাংশে। গত সপ্তাহেও যেটা ছিল  ২.৫ শতাংশের কাছাকাছি।

তবে রবিবার দেশের করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা কমলেও বেড়েছে দৈনিক মৃত্যু। কেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী, গত একদিনে দেশে নতুন করে করোনার বলি হয়েছেন আরো ২৫ জন। মৃত এই ২৫ জনের মধ্যে ১০ জন কেরলের বাসিন্দা, চারজন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা, ছয়জন দিল্লির বাসিন্দা,দুজন বাংলার বাসিন্দা এবং একজন করে মৃত্যু হয়েছে ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশ ও রাজস্থানে। এদিন আক্রান্তের সংখ্যা নিরিখে ফের মহারাষ্ট্রকে টপকে গিয়েছে দক্ষিণের রাজ্য কেরল। কেরলে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪০৯৮ জন, সেখানে মহারাষ্ট্রে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৭২৮। অন্যদিকে ১৩৮২ জন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে দক্ষিণের আরো এক রাজ্য তামিলনাড়ু। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, বাংলা, দিল্লি, গুজরাট, হারিয়ানা, তেলেঙ্গানার মতো একাধিক রাজ্যে এদিনও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক জায়গায় অবস্থান করছে বলে খবর।

 অন্যদিকে দেশের অ্যাক্টিভ কেস এবং পজিটিভিটি রেট বৃদ্ধি পাওয়ায় রবিবার ফের কিছুটা কমেছে সুস্থতার হার। কেন্দ্রের হিসেবে গত একদিনে দেশে করোনা মুক্ত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০ হাজার ৯১৭ জন। যার জেরে দেশে এই মুহূর্তে সুস্থতার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯৮.৫৮ শতাংশে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *