CBI হেফাজত থেকে ‘উধাও’ ১০৩ কেজি সোনা, CID-কে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের!

মুখ পুড়ল সিবিআইয়ের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজত থেকেই কার্যত হারিয়ে গেল এক কুইন্টালেরও বেশি বাজেয়াপ্তো সোনা। এই সোনার দাম প্রায় ৪৩ থেকে ৪৫ কোটি টাকা। গোটা ঘটনায় মাদ্রাজ হাই কোর্ট সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। যা সিবিআইয়ের কাছে নিঃসন্দেহে অপমানজনক।

নয়াদিল্লি: মুখ পুড়ল সিবিআইয়ের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজত থেকেই কার্যত হারিয়ে গেল এক কুইন্টালেরও বেশি বাজেয়াপ্তো সোনা। এই সোনার দাম প্রায় ৪৩ থেকে ৪৫ কোটি টাকা। গোটা ঘটনায় মাদ্রাজ হাই কোর্ট সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। যা সিবিআইয়ের কাছে নিঃসন্দেহে অপমানজনক।

২০১২ সালে চেন্নাইয়ের সুরানা কর্পোরেশন সংস্থা থেকে বেশি কিছু সোনা বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই। ওই সংস্থাটি বিদেশ থেকে সোনা ও রুপো আমদানি করত বলে অভিযোগ। এই সংস্থার বিরুদ্ধে ৮ বছর আগে অভিযোগ উঠেছিল তারা প্রচুর পরিমাণে অলঙ্কার আমদানি করত। সিবিআই ওই সংস্থা থেকে ৪০০ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করে। অভিযোগ সংস্থারই বিভিন্ন ভল্টে ওই সোনা গয়না এবং সোনার বার হিসেবে রাখা ছিল। ওই সোনা বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই দাবি করেছিল যে সেগুলি তাদের জিম্মায় নিরাপদে রয়েছে। তারা এও জানিয়েছিল যে যেখানে সেই সোনা রয়েছে তার চাবি রয়েছে চেন্নাইয়ের সিবিআইয়ের এক বিশেষ আদালতে। কিন্তু এবার জানা গেল ভল্ট থেকে উধাও সেই ৪০০ কেজি সোনা।

বাজেয়াপ্ত এই সোনা নিয়ে অনেক জলঘোলা হলেও সেটি ঠিকঠাক রয়েছে কিনা তা দেখা হয়নি। কিন্তু গত ডিসেম্বরে ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনাল নির্দেশ দেয় ওই বাজেয়াপ্ত সোনা দিয়ে সুরানা কর্পোরেশনের ঋণ শোধ করা হবে। তাই সোনা যেন ৬টি ব্যাংকের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। কিন্তু ব্যাংক আধিকারিকদের সামনে ওই সোনা খুলতেই অবাক কাণ্ড! সম্পূর্ণ সোনা গায়েব না হলেও প্রায় ১০৩ কেজি সোনা কমে গিয়েছে! এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়। গোটা ঘটনায় সিবিআইয়ের আইনজীবীর সাফাই, সোনা বাজেয়াপ্ত করার পর তা ওজন করা হয়। কিন্তু পরে আলাদা আলাদাভাবে ওজন করা হয়। হয়তো তখন ওজন কমে গিয়েছে।

তবে আদালতের তরফে এই যুক্তি মানা হয়নি। মাদ্রাজ হাই কোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওই মামলার তদন্ত করবে সিআইডি। তবে সিবিআই গোটা ব্যাপারটিকে অপমানজনক বলে মনে করছে। তার পরিবর্তে সিবিআই বা অন্য কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত দাবি করেছিল তারা। কিন্তু আদালত তা মানেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × one =