ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৩০ কোটি, কিংকর্তব্যবিমূঢ় ফুল বিক্রেতা

ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৩০ কোটি, কিংকর্তব্যবিমূঢ় ফুল বিক্রেতা

কর্ণাটক: সংসারে যখন আর্থিক অনটন, অসুস্থ পরিবারের সদস্য, ঠিক তখনই বাড়িতে হাজির ব্যাঙ্ক কর্মীদের একটি দল৷ মুহূর্তের জন্য হলেও মস্তিস্ক বিকল হয়ে যায় বৈকি৷ এক্ষেত্রেও ঠিক একই রকম ঘটবে, তা বুঝতে পারেননি পেশায় ফুল বিক্রেতা৷

ঘটনাস্থল কর্ণাটকের চান্নাপাāটনা শহর৷ জনৈক সঈদ মালিক বুরহান সেখানকার এক সাধারণ ফুল বিক্রেতা৷ ওই অঞ্চলের স্থানীয়দের থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, গত বছর ডিসেম্বর মাসে ওই ফুল বিক্রেতার পরিবারের এক সদস্য যখন বেজায় অসুস্থ, ঠিক সেইসময় একদিন তাঁর বাড়িতে বেশ কয়েক জন ব্যাঙ্ক কর্মী এসে হাজির হন৷ তাঁরা বলেন, সঈদ বুরহানের স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে বিরাট বড় অঙ্কের টাকা জমা হয়েছে৷ সেই মোটা অঙ্কের টাকা আয়ের উৎস কী? সে বিষয়ে জানতেই তাঁদের এই আকষ্মিক হাজিরা৷

ব্যঙ্ক কর্মীদের থেকে এহেন তথ্য পেয়ে বিস্মিত হয়ে যান ওই দম্পতি৷ কারণ সেই সময় তাঁদের কাছে জবাব দেওয়ার মতন কোনও শব্দ জানা ছিল না৷ এরপর ব্যাঙ্ক কর্মীরা ওই দম্পতির আধার কার্ড সহ ব্যাঙ্কে যাওয়ার নির্দেশ দেন৷ কিন্তু বিপত্তি দেখা যায় এরপরেই৷

ওই ফুল ব্যবসায়ীর দাবি, ব্যাঙ্কে যাওয়ার পর ব্যাঙ্ক কর্মীরা তাঁদের জোর করে নথিপত্রের জন্য চাপ দিতে থাকেন৷ কিন্তু সঈদ নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনও কাজ করার বিরোধীতা করেন৷ সঈদের অনুমান, বেশ কিছুদিন আগে সে অনলাইনে একটা শাড়ি কেনেন৷ তারপরেই তার কাছে একটি ফোন আসে৷ অপর প্রান্ত থেকে জানানো হয়, তিনি লাকি ড্রতে একটি গাড়ি জিতেছেন৷ সেই গাড়ি পেতে হলে তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাবলী জানাতে হবে৷ এরপরেই স্ত্রী রেহানার অ্যাকাউন্টে ওই টাকা জমা পরে বলে দাবি দম্পতির৷ সঈদ এরপর আয়কর বিভাগে একটি অভিযোগ দায়ের করেন৷ কিন্তু সেই অভিযোগে প্রথমে কোনও আমল দেয়নি ওই দফতরের কর্মীরা৷ এমনটাই জানালেন সঈদ৷ পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই লেনদেনের নেপথ্যে কাদের ভূমিকা রয়েছে অতি দ্রুত তা খঁজে রের করা হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *