একে তো করোনার ভয়। তার ওপরে বাড়ি থেকে বেরোনোর কোনও সুযোগ নেই। ফলে করোনা আবহে রীতিমতো বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠেছে মানুষ। ক্রমাগত ঘরবন্দি থেকে অনেকে ডিপ্রেশনে চলে যাচ্ছেন। আবার অনেকেই রীতিমতো বিরক্ত হচ্ছেন। ওয়ার্ক ফ্রম হোম প্রথম দিকে ভাল লাগলেও বর্তমানে রীতিমতো বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে এই ওয়ার্ক ফ্রম হোমের কারণে মানুষের গোপন অঙ্গ অনেক সুস্থ রয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের এমন দাবির পেছনে কারণ কী?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন আমরা বাড়িতে যে ধরনের জামা কাপড় পড়ে থাকি, অফিসে যাওয়ার সময় মোটেই তা সে রকম ঢিলেঢালা পোশাক পরি না। উল্টে আঁটসাঁট পোশাক পরতে অভ্যস্ত ছেলে থেকে মেয়ে, সবাই। বিশেষত মহিলারা জিন্স বা লেগিংস ব্যবহার করেন বেশি। অফিসে যাওয়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘক্ষণ টাইট পোশাক পরে থাকার ফলে নানান সমস্যা দেখা দেয়। তার মধ্যে গোপনাঙ্গে এলার্জি, চুলকানি হয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে পড়ে। সেখান থেকে নিস্তার পেতে একাধিক উপায় অবলম্বন করেন মহিলারা। কিন্তু বর্তমানে ওয়ার্ক ফ্রম হোম হওয়াতে মানুষ ঢিলেঢালা পোশাক পরে কাজ করতে বসে এবং সারা দিনই ঢিলেঢালা পোশাকেই থাকে। ফলে গোপনাঙ্গে সমস্যা অনেকটাই কম হচ্ছে। পুরুষের ক্ষেত্রে একই কথা খাটে।
এছাড়া পাবলিক টয়লেট ব্যবহার না করায় অনেক সমস্যা থেকে অব্যহতি মিলেছে। আর যাঁরা পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করেন না তাঁরা তো অন্তত অফিসের শৌচাগার ব্যবহার করেন। সেক্ষেত্রে সেখান থেকেও জীবাণু সংক্রমণ ঘটতে পারে। কিন্তু ওয়ার্ক ফ্রম হোমে সেইসব সমস্যা একেবারেই নেই। এছাড়া গোপনাঙ্গ সুস্থ থাকার আর একটি প্রধান কারণ হল জিন্সের ব্যবহার। ছেলে বা মেয়ে উভয়ই অফিসে যাওয়ার জন্য মূলত জিনিস ব্যবহার করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে জিন্সে এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া বাসা বানিয়ে ফেলে যা গোপনাঙ্গের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ব্যাকটেরিয়াগুলি মূত্রথলির ক্ষতি করে। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় এর কোন বালাই নেই। ফলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে অনেকাংশে কমে গিয়েছে। আর তাই সুস্থ থাকছে গোপনাঙ্গ।