বৈবাহিক জীবনের জন্য জলাঞ্জলি দিতে হয়েছে পেশা, এখনও সমাজের যূপকাষ্ঠে বলি মহিলারা

ঘরে-বাইরে একসঙ্গে সামলানো সমস্ত মেয়েদের পক্ষেই বেশ মুশকিলের বিষয়। তবুও হাসি মুখে মেয়েরা দু'দিকেই সমানতালে ব্যালেন্স করেন। কিন্তু অনেক সময় ব্যক্তিগত জীবনের জন্য পেশাগত জীবনে সমস্যার শুরু হয়। মেয়েদের মধ্যে অনেক চাকরিজীবীরাই জানিয়েছেন তাদের ব্যক্তিগত জীবনের প্রভাব পড়ে তাদের পোশাগত জীবনে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যখনই কাজের ভারসাম্য বজায় রাখার কথা আসে তখনই মহিলাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি পুরুষদের থেকে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়। তবে পুরুষরা যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় না তা নয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও মেয়েদের ক্ষেত্রে কাজটা হয় বেশি কঠিন।

ঘরে-বাইরে একসঙ্গে সামলানো সমস্ত মেয়েদের পক্ষেই বেশ মুশকিলের বিষয়। তবুও হাসি মুখে মেয়েরা দু'দিকেই সমানতালে ব্যালেন্স করেন। কিন্তু অনেক সময় ব্যক্তিগত জীবনের জন্য পেশাগত জীবনে সমস্যার শুরু হয়। মেয়েদের মধ্যে অনেক চাকরিজীবীরাই জানিয়েছেন তাদের ব্যক্তিগত জীবনের প্রভাব পড়ে তাদের পোশাগত জীবনে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যখনই কাজের ভারসাম্য বজায় রাখার কথা আসে তখনই মহিলাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি পুরুষদের থেকে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়। তবে পুরুষরা যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় না তা নয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও মেয়েদের ক্ষেত্রে কাজটা হয় বেশি কঠিন।

এক মহিলা জানিয়েছেন বিয়ের আগে তিনি যখন ডেট করতেন তখন তার সঙ্গী সবার সঙ্গে খোলামেলা ছিলেন। বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সঙ্গে মিশে যেতেন। ফলে সেই মহিলা ধরে নিয়েছিলেন বিয়ের পর তাঁর সঙ্গী তাঁর পেশাকে সম্মান জানাবেন। কিন্তু বিয়ের পর উল্টোটাই ঘটে। শ্বশুরবাড়ির ছোটখাটো ঘটনায় তাঁকে ছুটি নিতে বলা হত। শাশুড়ি অসুস্থ হলে বা বাড়ির কাজের লোক না এলে তাঁকেই ছুটি নিতে হত। অন্যরা যে যার মতো জীবন অতিবাহিত করতেন। তিনি অনেকবার এসব থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সফল হননি।

অন্য এক মহিলা জানিয়েছেন বিয়ের পরও তিনি চাকরি করতেন এবং প্রমোশন হওয়ার কথা ছিল। এমন সময় তাঁকে তাঁর শ্বশুরবাড়ি যেতে হয়। তাঁর শ্বশুরবাড়িতে যৌথ পরিবার। ফলে সেখানে বারবার তার পেশার উপর বাধা আসে। তিনি বাড়ি এবং কার্য ক্ষেত্রের মধ্যে সময় বণ্টন করে উঠতে পারছিলেন না। এর ফলে তাঁর কাজ ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। আটকে যায় প্রমোশন।

আর এক মহিলা বলেছেন তিনি বিয়ের আগেই তাঁর স্বামীকে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি ভাল রান্না করতে পারেন না। কিন্তু বিয়ের পরে যখন তাঁদের সঙ্গে তাঁর শাশুড়িও থাকতে শুরু করলেন তখন তিনি জোর করে তাঁকে রান্নাঘরে নিয়ে যেতেন। তাঁকে রান্না করতেই হতো। শাশুড়ি তাঁকে জোর করে বোঝাতেন যে তাঁর স্বামীকে কী খেতে ভালোবাসেন। ওই মহিলা জানিয়েছেন বিয়ের বহু বছর অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে। আজ তাঁকেই রান্না করতে হয়। আগে যেমন তিনি ও তাঁর স্বামী মিলে কাজ ভাগ করে নিতেন, সেদিন আর নেই। এক মহিলা এমনও জানিয়েছেন বিয়ের আগেই তিনি ও তাঁর বয়ফ্রেন্ড, পরে যিনি তাঁ স্বামী হন, সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে কেউ কারওর পেশাগত জীবনে দখলদারি করবে না। উল্টে দুজনে দুজনের চাকরি ক্ষেত্রে যাতে উন্নতি হয় সেই চেষ্টা করবে। কিন্তু বিয়ের পর সবকিছু বদলে গিয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 + one =