নয়াদিল্লি: বর্তমান যুগে ক্রিম, লোশন দিয়ে ত্বককে ফর্সা করতে চেষ্টা করে মানুষ। আর তার ফলে বর্ণবৈষম্য আরও বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। ফর্সা- এই শব্দটির সঙ্গে আরও বেশ কয়েকটি অন্যান্য বর্ণবিরোধী ধারণা যুক্ত রয়েছে। সেই প্রসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় সেই ফলাফলগুলি উঠে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে যে মহিলারা কার্যত ‘ফেয়ার’ই (fair) হয়। বলাই বাহুল্য এটি দ্বার্থ্যক ভাষায় প্রয়োগ করা হয়েছে।
৬৭ টি দেশের ৩.৩ লক্ষ মানুষের মধ্যে এই সমীক্ষা করা হয়। নারীরা নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রগণ্যা। যেখানে নিরপেক্ষতা, শুদ্ধি এবং মমত্ববোধকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় সেখানে পুরুষের তুলনায় মেয়েরাই এগিয়ে থাকে। যদিও অনুসন্ধানে নিরপেক্ষতা থাকতে হবে এমন জায়গায়তেও নারীদেরই প্রাধান্য দেওয়া হয়। এই বিষয়টি নিয়ে লিঙ্গসাম্যের পাশ্চাত্য দেশগুলিতেও লিঙ্গের মধ্যে বিভেদ আরও স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে। একটি সত্যিই আশ্চর্য। সর্বোপরি, প্রচলিত জ্ঞান হ’ল উন্নত অর্থনীতিতে ন্যায্যতার বিষয়ে মতামতের ছায়াগুলি বেশি পরিপূর্ণ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত আরেকটি সাম্প্রতিক গবেষণায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে নারীরা কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে পুরুষদের চেয়ে বেশি সক্রিয়। যেমন মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার ক্ষেত্রে মহিলারা অনেক বেশি সচেতন। গবেষণা এও প্রমাণ দেয় যে পুরুষ এবং মহিলা আলাদাভাবে চিন্তা করেন। এই গবেশণা ও সমীক্ষা কোথাও গিয়ে এমন প্রমাণও দেয় যে লিঙ্গবৈষম্য শুধু একটি বক্তব্য মাত্র। প্রকৃতপক্ষে এটি কখনই হয় না। ‘ন্যায্য যৌনতা’ শব্দটি হল স্পষ্টতই একটি বিবৃতি। শোক বা পক্ষপাত নয়।