ওষুধের বদলে ঘরোয়া টোটকা, জেনে নিন মাইগ্রেন কমানোর চটজলদি কিছু সমাধান

ওষুধের বদলে ঘরোয়া টোটকা, জেনে নিন মাইগ্রেন কমানোর চটজলদি কিছু সমাধান

1bfbe92ec94f4842601d30b3629df63e

নয়াদিল্লি: আজকাল খুব সাধারণ একটি সমস্যা মাইগ্রেন। তবে সব মাথা যন্ত্রণা মানেই যে মাইগ্রেন, তা কিন্তু নয়। অনেক কারণেই মানুষের মাথাব্যথা হতে পারে। কখনও একটানা কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে কাজ করলে হতে পারে মাথাব্যথা। কখনো আবার ঠান্ডা লাগলে মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়। আবার কখনো কখনো সাইনাসের কারণে মাথায় তীব্র ব্যথা হয়। কিন্তু এসবের থেকে মারাত্মক হল মাইগ্রেনের ব্যথা। যার মাইগ্রেন আছে, সেই কেবল বুঝতে পারে এই ব্যথা কতটা ভয়াবহ। একবার শুরু হলে অন্তত ৭২ ঘণ্টা স্থায়ী থাকতে পারে মাইগ্রেনের যন্ত্রণা। কাজ করা তো দূরে থাক, অনেকে বিছানা ছেড়ে উঠতে পর্যন্ত পারেন না। কিন্তু জানেন কি কয়েকটি ঘরোয়া টোটকাতেই মাইগ্রেনের ব্যথাকে দূরে রাখা সম্ভব?

১. জল খান- মাইগ্রেনকে দূরে রাখতে সবথেকে ফলপ্রসূ হল জল খাওয়া। পর্যাপ্ত পরিমাণ জল ডিহাইড্রেশন থেকে শরীরকে মুক্ত রাখে। শরীরের তরল এবং ইলেকট্রোলাইটের পরিমাণ ঠিক থাকলে মাইগ্রেন অনেকটাই আয়ত্তে আসে। মাঝে মাঝে জলে পাতি লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে মাইগ্রেন যেমন দূরে থাকবে, তেমনি অন্য অনেক রোগ থেকেও মুক্তি মিলবে।

২. অতিরিক্ত ক্যাফেইন নৈব নৈব চ- অনেক সময় ব্ল্যাক কফি সাময়িকভাবে মাইগ্রেনের ব্যথা দূর করে। তাই যাদের মাইগ্রেন আছে তারা মাঝে মাঝে মধ্যে কফি খান। এটা কিন্তু একেবারেই উচিত নয়। কারণ বেশি পরিমাণ ক্যাফেইন শরীরের মধ্যে ঢুকলে তা হিতে বিপরীত হতে পারে। মাইগ্রেনের ব্যথা কমানোর বদলে বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া চকলেট এবং অ্যালকোহল পরিত্যাগ করুন। এতে অনেকটা উপকার পেতে পারেন।

৩. মেডিটেশন- বিশেষজ্ঞরা বলেন অনেক শারীরিক এবং মানসিক সমস্যার সমাধান হলো মেডিটেশন বা ধ্যান। মানুষকে মানসিক দিক থেকেও যেমন চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে মেডিটেশন, তেমন অনেক শারীরিক রোগ দূর করে। এসব শারীরিক রোগের মধ্যে অন্যতম হলো মাইগ্রেন। মেডিটেশন করলে অনেকটাই কম থাকে। তবে একবার বা দুবার মেডিটেশন  করলে কিন্তু মাইগ্রেন কমার কোনো আশা নেই। একটানা অনেক দিন ধান করলে অনেকটাই কমে যায় মাইগ্রেনের সমস্যা।

৪. বিশ্রাম- এত কিছু মেনে চললেও যে মাইগ্রেন একেবারে চলে যাবে, তা কিন্তু নয়। মাঝেমধ্যে যদি মাইগ্রেন হানা দেয় তাহলে তার থেকেও রক্ষা পাওয়ার টোটকা আছে।  মাইগ্রেনের ব্যথা সাধারণত বেশি আলো এবং বেশি শব্দে বেড়ে যায়। তাই মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হলে চেষ্টা করুন অন্ধকার ঘরে বিশ্রাম নেওয়ার। অবশ্যই খেয়াল রাখবেন সেই ঘরে শব্দ যেন না থাকে। অন্ধকার  ঘরে নিঃশব্দে বিশ্রাম নিলে দ্রুত কমে যায় মাইগ্রেনের ব্যথা।

৫. এছাড়া মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়লে ঠান্ডা অথবা গরম জলে ভাপ নিতে পারেন। অনেক চিকিৎসক ঠান্ডা জল বা বরফের সেক নেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু সমীক্ষায় এমনও দেখা গেছে যে অনেক ক্ষেত্রে গরম গরম ভাপ নেওয়া মাইগ্রেনকে দ্রুত কমাতে সাহায্য করে। তবে আপনি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *