স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া? পুষে রাখবেন না প্লিজ, না হলেই বিপদ

যে কোনও সম্পর্কেরই চড়াই উতরাই রয়েছে, দাম্পত্য সম্পর্কে তো আরও বেশি। ফলে কোনও একদিন আপনাদের প্রেম যেমন গাঢ় হয়ে উঠতে পারে, তেমনি তার ক’দিন পরেই ফাটাফাটি ঝগড়া হওয়াও বিচিত্র নয়! বা এমনও হতে পারে, ঝগড়াটাই নৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়াল। এ সব ক্ষেত্রে সম্পর্ক যাতে আরও তেতো না যায়, সে চেষ্টা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। যদি চান সম্পর্কে

b8e509b73b8f83de345443b521d1a236

স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া? পুষে রাখবেন না প্লিজ, না হলেই বিপদ

যে কোনও সম্পর্কেরই চড়াই উতরাই রয়েছে, দাম্পত্য সম্পর্কে তো আরও বেশি। ফলে কোনও একদিন আপনাদের প্রেম যেমন গাঢ় হয়ে উঠতে পারে, তেমনি তার ক’দিন পরেই ফাটাফাটি ঝগড়া হওয়াও বিচিত্র নয়! বা এমনও হতে পারে, ঝগড়াটাই নৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়াল। এ সব ক্ষেত্রে সম্পর্ক যাতে আরও তেতো না যায়, সে চেষ্টা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। যদি চান সম্পর্কে শান্তি ফিরিয়ে আনতে, তা হলে প্রথমেই যেটা করতে হবে আপনাকে সেটা হল, রাগ পুষে রাখা চলবে না। কীভাবে করবেন সেটা? চোখ বুলিয়ে নিন কিছু টিপসে।

খারাপ স্মৃতিগুলো ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করুন: এমনিতেই মানুষের স্বভাব হল ভালো স্মৃতিগুলোকে এড়িয়ে গিয়ে খারাপগুলোকে মনে রাখা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেটা করলে পস্তাতে হবে। তাই সমস্ত তিক্ততার স্মৃতি ভুলে গিয়ে সুখের মুহূর্ত, প্রেমের মুহূর্তগুলো মনে রাখুন। যতবার ঝগড়ার মুহূর্তগুলো মনে করবেন, আপনার তিক্ততা বাড়বে বই কমবে না। তাই চেষ্টা করুন মাথার মধ্যে থেকে ওই দৃশ্যগুলো মুছে দিতে।

ভুল থেকে শিক্ষা নিন: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ায় কোনও এক পক্ষ সবসময় ঠিক হবেন, এটা সাধারণত হয় না। যদি মনে হয় আপনি ভুল করেছেন, সেটা মেনে নিন, তা থেকে শিক্ষা নিন। যদি স্বামীর ভুল থাকে, তা হলে পরিস্থিতি ঠান্ডা হলে সেটা ওঁকে স্পষ্ট করে জানান। আপনাদের মধ্যে ভালোবাসার টান থাকলে উনি বুঝবেন।

জার্নাল রাখুন: কী কী বিষয় নিয়ে আপনাদের মধ্যে ঝগড়া বাধে, তার একটা লিস্ট করতে পারলে মন্দ হয় না! খাতায় লিখে রাখুন বিষয়গুলো। যখন দু’জনেরই মন ভালো থাকবে, লিস্টটা নিয়ে বসে আলোচনা করুন। দাম্পত্যশান্তি বজায় রাখতে কোন কোন বিষয়গুলো বদলানো প্রয়োজন তা নিয়ে দু’জনে একটা সিদ্ধান্তে আসুন।

নিজেকে একটা সম্পর্কে আবদ্ধ করে রাখবেন না: সারাক্ষণ দাম্পত্য সম্পর্কের মধ্যে নিজেকে ধরে রাখবেন না। আপনার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ আরও যে সব মানুষেরা আছেন, তাঁদের কথাও ভাবুন, তাঁদের সময় দিন। তাতে একঘেয়েমি থেকে মুক্তি পাবেন, দাম্পত্য সম্পর্কটাকেও অন্য চোখে দেখতে সুবিধে হবে।

নিজেকে অপরাধী ভাবা বন্ধ করুন: দাম্পত্যকলহ সব স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেই হয়। তার জন্য নিজেকে অপরাধী ভাববেন না। আত্মবিশ্বাস ধরে রাখুন। আপনি যদি চাকরিজীবী হন, তা হলে পেশায় আরও ভালো কাজ করে দেখান। যদি গৃহবধূ হন, তা হলে অবসরে কিছু একটা কাজ করুন, কোনও হবির চর্চা করুন। এক কথায় নিজের জন্য আলাদা একটা জায়গা তৈরি করুন। নিজে যদি মন থেকে খুশি থাকতে পারেন, তার ইতিবাচক প্রভাব আপনার সম্পর্কেও পড়বে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *