যৌন ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে পারফিউম! প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য

গরমে পারফিউম বা ডিওড্রেন্ট ব্যবহার করা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। ঘামের দুর্গন্ধ এড়াতে এর চেয়ে উপযোগী আর কিছু নেই। এছাড়া অনেক সময় বিপরীত লিঙ্গের মানুষকে আকর্ষণ করতেও অনেকে পারফিউম ব্যবহার করেন। বিজ্ঞাপনেরও দাবি তেমনই। তবে বিজ্ঞান কিন্তু সম্পূর্ণ উলটো কথাই বলছে। বিজ্ঞানীদের মতে, যৌন জীবনে বডি-স্প্রে, ডিওডারেন্ট বা পারফিউমের ভূমিকা থাকলেও তা ইতিবাচকের তুলনায় নেতিবাচকই বেশি। এতে উল্টো দিকের মানুষটি যেমন আকর্ষিত হয় তেমনই এর প্রভাব যৌন মিলনেও বাদ সাধে।

গরমে পারফিউম বা ডিওড্রেন্ট ব্যবহার করা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। ঘামের দুর্গন্ধ এড়াতে এর চেয়ে উপযোগী আর কিছু নেই। এছাড়া অনেক সময় বিপরীত লিঙ্গের মানুষকে আকর্ষণ করতেও অনেকে পারফিউম ব্যবহার করেন। বিজ্ঞাপনেরও দাবি তেমনই। তবে বিজ্ঞান কিন্তু সম্পূর্ণ উলটো কথাই বলছে। বিজ্ঞানীদের মতে, যৌন জীবনে বডি-স্প্রে, ডিওডারেন্ট বা পারফিউমের ভূমিকা থাকলেও তা ইতিবাচকের তুলনায় নেতিবাচকই বেশি। এতে উল্টো দিকের মানুষটি যেমন আকর্ষিত হয় তেমনই এর প্রভাব যৌন মিলনেও বাদ সাধে।

গবেষণায় প্রকাশ বাজার চলতি এই সব পারফিউম ও ডিওড্রেন্টের কারণে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় পুরুষের। তাদের যৌন জীবনে এর নেচিবাচক প্রভাব পড়ে সবচেয়ে বেশি। এই ক্ষতির জন্য প্রধানত দায়ী থ্যালেট। এই রাসায়নিকের ফলেই সুগন্ধী দীর্ঘস্থায়ী হয়। কিন্তু যৌন মিলন সময় এটিই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। যৌন সুখ কমিয়ে দেয়। থ্যালেটের ফলে যৌন হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ফলে পুরুষের যৌন কামনা ক্রমশ পড়তে থাকে। যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে পুরুষাঙ্গের উপর। পুরুষাঙ্গ শিথিল হয়। এমনকী থ্যালট স্পার্ম কাউন্টও কমিয়ে দেয়। 

তবে পারফিউমের কু-প্রভাব শুধু পুরুষের উপরেই পড়ে না। পড়ে মহিলাদের উপরও। থ্যালেট ছাড়াও অনেক এমন উপাদান রয়েছে পারফিউমে যা মহিলাদের ক্ষতি করে। এর প্রপিলিন গ্লাইকল ছদ্ম ইস্ট্রোজেনের মতো কাজ করে। ফলে মহিলাদের শরীরেও যৌন হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। প্যারাবেনস নামে রাসায়নিকের কাজও অনেকটা এক। এই উপাদান প্রিজারভেটিভ হিসাবে কাজ করলেও মহিলা এবং পুরুষ উভয়ের শরীরেই ছদ্ম ইস্ট্রেজেনের ভূমিকা পালন করে। এর প্রভাবেই হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। পারফিউম ও ডিওড্রেন্টের বহু ব্যবহার যে শুধু যৌন ক্ষমতা কমায়, তা নয়। মহিলাদের স্তন ও প্রস্টেট ক্যানসারের আশঙ্কাও বাড়িয়ে তোলে।

ঘামে উপস্থিত বিভিন্ন দুর্গন্ধ যাতে না হয়, তার জন্য পারফিউমে ট্রাইক্লোসন নামে একপ্রকার রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই রাসায়নিক পুরুষের স্পার্ম উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করে। যৌনাঙ্গেরও ক্ষতি করে এই উপাদান। এছাড়া ইস্ট্রোজেন, অ্যান্ড্রোজেন, থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য সম্পূর্ণ নষ্ট করে দেয় এটি। মহিলাদের যৌন কামনা বাড়াতে মূলত ইস্ট্রোজেন সাহায্য করে। কিন্তু ছদ্ম ইস্ট্রোজেন উল্টো কাজ করে। প্রকৃত হরমোনের কার্যকারিতা অনেকটাই কমিয়ে দেয় এটি। অন্যদিকে পুরুষ শরীরে ইস্ট্রোজেন বেড়ে যাওয়া টেস্টোস্টেরন কমে। ফলে সেক্ষেত্রেও যৌন ক্ষমতা হ্রাস পায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 + fourteen =