আহমেদাবাদ: এই বিশ্বে কত কিছুই না ঘটে! এমন ঘটনা যা শুনলে অবাক হওয়ার চেয়ে হাসি পায় বেশি। সম্প্রতি গুজরাটের এমনই একটি ঘটনা সামনে এসেছে। এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন যে তিনি তাঁর পুত্রবধূকে ও তাঁর ছেলেকে যৌনমিলন করতে দেখেছিলেন। তাঁর দাবি তাঁর পুত্রবধূর উপর 'প্রেতাত্মা' ভর করেছে।
গুজরাটের ভাদোদরার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির পুত্রবধূ গান্ধীনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। মহিলার মতে, তাঁর শ্বশুরবাড়ি দাবি করেছেন যে কোনও এক প্রেতাত্মা তাঁকে পজেস করেছে বা তাঁর উপর ভর করেছ। তাই তিনি যদি তাঁর স্বামীর সঙ্গে যৌন মিলন করেন তবে তাঁর স্বামীর শরীরেও সেই প্রেতাত্মা প্রবেশ করবে। সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই মহিলারা যখন অযৌক্তিক দাবির প্রতিবাদ করেছিলেন, তখন মহিলাকে তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকরা গান্ধীনগরের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। এরপর ওই মহিলা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে গার্হস্থ্য আইনে মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: নিউমোনিয়া-অ্যালার্জির ওষুধেই সারবে করোনা! দিশা দেখাচ্ছেন বাঙালি কন্যা
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই মহিলার ভাদোদরার এক আদালতে বিয়ে হয়। ৪৩ বছর বয়সী এই মহিলা ভাদোদরা জেলার আলকাপুরির বাসিন্দা। তাঁর স্বামী গান্ধীনগরের বাসিন্দা। মহিলা তার অভিযোগে বলেন যে তাঁর শ্বশুর বিশ্বাস করেন যে তাঁকে কিছু প্রেতাত্মা কব্জা করেছে। এবং যদি তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে যৌন মিলন করেন তবে আত্মা তাঁর স্বামীর দেহে প্রবেশ করবে। “আমি যখন তাঁদের আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই তখন শ্বশুর বাড়ির লোকেরা এবং স্বামী মানসিকভাবে হেনস্তা ও মারধর করেন।”
অভিযোগকারী এও জানান তাঁর শাশুড়ি তাঁর শ্বশুরকে যৌন হেনস্থার করার জন্যও প্ররোচিত করেছিলেন। “যখনই আমি বাড়িতে একা থাকতাম, আমার শ্বাশুড়ি আমার শ্বশুরকে আমার শ্লীলতাহানি করার কথা বলতেন। আমি ১০ মার্চ স্বামীর বাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হই। তারপর আমার পরিবারের অন্য সদস্যরা কথাবার্তার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু আমার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আমাকে ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করে।” বলেন ওই মহিলা। তিনি এও অভিোগ জানান, পুলিশে যোগাযোগ করলে তাঁর মারাত্মক পরিণতি হবে এমন হুমকিও দেওয়া হয়েছিল শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে।