মধু নাকি অনেক উপকারে লাগে। অনেক রোগের প্রতিষেধক হল মধু। ঠাকুমা-দিদিমাদের মুখে এখনও একথা শোনা যায়। কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম মধু নিয়ে তেমন মাতামাতি করে না। কারণ আজকাল হাজার রোগের লক্ষাধিক ওষুধ। নিয়ম করে মধু খাওয়ার দিকে ঝুঁকবে কে? কিন্তু সত্যিই যদি নিয়মিত মধু খাওয়া যায়, তবে অনেক রোগ থেকে উপশম মেলে। এমনকী করোনা থেকেও দূরে রাখতে পারে মধু।
মধুতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ। ফলে মধু সেবনে শরীরে পরিশ্রম ক্ষমতা বাড়ে। আর তুসলীপাতা সহযোগে মধু তো সর্দি বা কাশির ক্ষেত্রে অব্যর্থ ওষুধ। এছাড়া উষ্ণ গরম জলের যদি মধু গুলে খাওয়া যায়, তাবে কাশি থেকে রেহাই মেলে। গলা খুসখুস থেকেও উপশম দিতে পারে মধু ঘুমের ক্ষেত্রে কিন্তু মধু অসাধারণ কাজ দেয়। রাতে ঘুমতে যাওয়ার আগে এক চামচ মধু খেলে ঘুম হয় ভাল। এছাড়া ক্যান্সার প্রতিরোধ করতেও কাজে দেয় মধু। যাঁদের হার্টের সমস্যা রয়েছে, তারা নিয়মিত মধু খেতে পারেন। এতে উপকার পাবেন।
মধুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্টস ও ফ্ল্যাভনয়েডস রয়েছে। ফলে অনেক রোগেই ম্যাজিকের মতো সাহায্য করতে পারে মধু। অনেকেরই ধারণা রয়েছে যে ডায়াবেটিস রোগীরা মধু খেতে পারবেন না একেবারেই। তা কিন্তু নয়। কিন্তু সেই মধুর সঙ্গে পর্যাপ্ত করলার রস বা ওই জাতীয় অন্য তেতো উপাদানও খেতে হবে। অথবা যতটুকু মধু খাবেন, ততটা পরিমাণ শর্করা জাতীয় খাদ্য কম খান। নিয়ম মেনে মধু ডায়াবেটিস রোগীরা খেতেই পারেন।
উষ্ণ জলে একটু লেবু ও মধু মিশিয়ে খেলে তা মেদ ঝরাতে খুব সাহায্য করে। যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে, তাঁরা নিয়মিত মধু খেতে পারেন। এতে সমস্যা কমবে। মধু সাধারণত অ্যান্টি ব্যাক্টিরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল। কারণ মৌমাছি মুখ দিয়ে উগড়ে মধু তৈরি করে। এতে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড থাকে। ফলে মানবদেহের পক্ষে এটি উপকারী। রাতভর পার্টি করার পর হ্যাংওভার কাটাতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে মধু। ঈষৎ উষ্ণ জলে মধু মিশিয়ে খেলে কেটে যায় হ্যাংওভার।