লকডাউনে বারোটা বেজেছে যৌন উত্তেজনার? সমস্যার সমাধান বাতলালেন বিশেষজ্ঞরা

লকডাউনের প্রথম দিকে যখন সবেমাত্র বাড়িতে থাকা শুরু হল, তখন খুব আনন্দ সহকারে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিল সাধারণ মানুষ। কিন্তু দিন যত এগিয়েছে বাড়িতে থাকার ইচ্ছে ক্রমশ কমেছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমেছে যৌন উত্তেজনা। প্রথমদিকে প্রিয়জনকে কাছে পেয়ে সীমাহীন আনন্দ হয়েছিল সবার। কিন্তু তারপর ধীরে ধীরে একঘেয়ে হতে শুরু করেছে। কমেছে শারীরিক সম্পর্ক। প্রিয়জনের থেকে দীর্ঘদিন দূরে থাকার ফলে হতাশায় ভুগছেন অনেকে। কিন্তু এই সময় এই সমস্ত সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করা প্রয়োজন। তাই যৌন উত্তেজনা ধরে রাখতে নতুন উপায় বাতলে দেন বিশেষজ্ঞরা।

লকডাউনের প্রথম দিকে যখন সবেমাত্র বাড়িতে থাকা শুরু হল, তখন খুব আনন্দ সহকারে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিল সাধারণ মানুষ। কিন্তু দিন যত এগিয়েছে বাড়িতে থাকার ইচ্ছে ক্রমশ কমেছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমেছে যৌন উত্তেজনা। প্রথমদিকে প্রিয়জনকে কাছে পেয়ে সীমাহীন আনন্দ হয়েছিল সবার। কিন্তু তারপর ধীরে ধীরে একঘেয়ে হতে শুরু করেছে। কমেছে শারীরিক সম্পর্ক। প্রিয়জনের থেকে দীর্ঘদিন দূরে থাকার ফলে হতাশায় ভুগছেন অনেকে। কিন্তু এই সময় এই সমস্ত সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করা প্রয়োজন। তাই যৌন উত্তেজনা ধরে রাখতে নতুন উপায় বাতলে দেন বিশেষজ্ঞরা।

ট্রেস ফ্রি থাকুন

কার জীবনে চাপ থাকে না? প্রত্যেকের জীবনে কিছু না কিছু সমস্যা থাকে। কিন্তু সেই সব চিন্তা করে নিজের মনকে দুঃখিত করার কোনও মানে হয় না। বরং সুস্থ থাকার চেষ্টা করুন। সেসব চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে আসুন চেষ্টা করুন। আর নিজেকে সুস্থ রাখতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমোন। আর তার পরেও যদি অবসাদ না কাটে তাহলে অবশ্যই কাউন্সেলিং করুন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই সময়ে যৌন উত্তেজনা বজায় রাখতে পর্নোগ্রাফি না দেখাই ভাল।

ফোনে চলতে পারে সেক্স

যাঁরা এই সময়ে প্রিয়জনের থেকে দূরে রয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে এই কথা একশো শতাংশ প্রযোজ্য। কারণ এই সময় অবশ্যই প্রিয়জনের সঙ্গে কথা হয়। তাই প্রয়োজন পড়লে ফোন সেক্স করার চেষ্টা করা যেতে পারে। এতে খানিকটা হলেও মন শান্ত থাকবে। ফোনে ঘনিষ্ঠ কোন মুহূর্তের কথা বলুন। অতীতের স্মৃতিচারণা করুন ।এছাড়া ভিডিও কলে কথা বলতে পারেন।

রুটিনমাফিক চলার চেষ্টা করুন

এই সময় বাড়িতেই কাজ। ফলে সারাদিন বাড়িতে থেকে একঘেয়েমি চলে আসে। তাই অনেকেই রাত জেগে সিনেমা দেখেন বা গান শোনেন। কিন্তু এইগুলি করবেন না একেবারে। যৌনতা ধরে রাখতে রুটিনে বাঁধা খুব প্রয়োজন। ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট রুটিন দরকারি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। রাত দুটো-তিনটে নাগাদ ঘুমিয়ে সকালবেলা নটা-দশটার সময় ঘুম থেকে উঠলে রুটিনের বারোটা বেজে যায়। আর তার প্রভাব পড়ে সেক্সুয়াল হরমোনের উপর। ফলে উত্তেজনা বাড়ার বদলে ক্রমশ কমতে থাকে। ক্রমশ তৈরি হয় সেক্সের প্রতি অনীহা। এড়িয়ে চলুন বেশি মদ্যপান। আর নিকোটিন তো অবশ্যই নয়।

প্রয়োজনে সেক্স থেরাপিস্টের সঙ্গে আলোচনা করুন

যে কোনো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে গেলে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা খুবই প্রয়োজন। শারীরিক সম্পর্ক যেমন দুটি মানুষকে কাছে আনে তেমনি দীর্ঘদিন শারীরিক সম্পর্ক না হলে দুটি মানুষের মধ্যে ক্রমশ দূরত্ব বাড়তে থাকে। এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে সেক্স থেরাপিস্ট। এমন কোনও সমস্যা হলে বিশেষজ্ঞের কাছে যান। তাঁর সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলুন। তাঁর পরামর্শ নিন। আশা করা যায় সমস্যা কেটে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 + 2 =