কলকাতা: শহরের উষ্ণতা কমিয়ে শীত গায়ে মেখেছে তিলোত্তমা কলকাতা৷ হালকা শীতের হাতধরে শুরু হয়েছে বিয়ের মরসুম৷ আগামী মাস তিনেক পরপর বিয়ের লগ্ন রয়েছে পাঁজিতে৷ কিন্তু এই বিয়ের বাঁধন সারাজীবন শক্তপোক্ত রাখতে ঠিক কী কী করা উচিত? বিয়ের পিঁড়িতে বসার আগে অবশ্যই এই পাঁচ বিষয়ের উপর নজর রাখা প্রয়োজন৷
সহমর্মিতা: যে কোনও এই একটি শব্দ অত্যন্ত গুরুত্ব৷ সম্পর্কের শক্তি বাড়াতে পরস্পরকে বোঝা থাকা জরুরি৷ সহমর্মিতার বোধ থাকতে প্রয়োজন৷ সম্পর্কে পারস্পরিক সহানুভূতি থাকলে সঙ্গীরও নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়৷ বিয়ের জন্য পারস্পরিক বোঝাপড়াটাও জরুরি৷
প্রশংসা: এই একটি শব্দের জন্য ছুটে চলেছে মানুষ৷ আর সেই প্রশংসা কে বা না পেতে ভালোবাসেন৷ আর সেই প্রশংসা যদি আপনার কাছের মানুষের থেকে পাওয়া যায়, তাহলে সোনায় সোহাগা৷ ফলে, ছোটখাটো বিষয়ে সঙ্গীর প্রশংসা করা জরুরি৷
আপোস: এই শব্দেই যত আপত্তি৷ সমস্যাও বটে৷ আর এই শব্দের পিছনে রয়েছে সম্পর্কের চাবিকাঠি৷ ইগো বিসর্জন নিতে না পারলে, সম্পর্ক আলগা হতে বাধ্য৷ আপোসও করতে হয় কখনও কখনও৷ আর আপোস করা মানেই যে ছোট হয়ে যাওয়া, তা কিন্তু নয়৷ ছোট ছোট রাগ পুষে না রেখে জীবন উপভোগ করুন৷
হাসি: বর্তমানে এই শব্দটির বড় অভাব নগরজীবনে৷ কিন্তু, এই শব্দটির যে কত শক্তিশালী, তা বোধহয় বিস্তারিত লেখার কোনও প্রয়োজন হয় না৷ মান-অভিমান ভাঙাতে হাসির মহিমা জানেন না, এই পুরুষ পাওয়া কঠিন৷ আর সেই কারণে জীবনের ছোট ছোট আনন্দগুলি পুরোদমে উপভোগ করে নিন সঙ্গীর সঙ্গে৷ মজাও করুন চুটিয়ে৷ হাসতে পারলে, জীবনে রসবোধ থাকলে বাকি জীবনেও৷
আস্থা: দাম্পত্যজীবনে এই শব্দের গুরুত্ব খুব সম্ভবত লিখে বোঝানো সম্ভব নয়৷ স্বামী-স্ত্রীর একে অপরের উপর আস্থা রাখার থেকে ভালো আর কিছুই হতে পারে না৷ বিশ্বাস নিয়ে সন্দেহ পুষে রাখবেন না৷ তাহলে সম্পর্ক টিকবে না৷ সন্দেহ কাটিয়ে উঠুন৷