গরম পড়েছে আর এই সময় একটু খাওয়া-দাওয়ার দিকে নজর দিতে হয়। তাই প্রতিদিনের মেনুতে শেষ পাতে যদি টক দই খাওয়া যায় তাহলে পেট ঠান্ডা থাকে। কারণ পেট ঠান্ডা রাখা গরমকালে খুবই দরকার। এমনিতে টকদই-এর উপকারীতা প্রচুর। কারণ টক দইয়ে আছে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস, আয়োডিন, জিঙ্ক, ভিটামিন বি টুয়েলভ, ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স৷ গরমে প্রচুর ঘাম হয় যার ফলে শরীর থেকে বেরিয়ে যায় পটাশিয়াম, সোডিয়াম।
টক দই খেলে শরীরে এই দুই উপাদানের ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করে। আমরা অনেকেই কমবেশি হজমের সমস্যায় ভুগি। টক দই হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। দই নিয়মিত খেলে শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমে যায়। দই হার্টের সমস্যা থাকলে তা দূর করতে সাহায্য করে। যদি কারও হার্টের সমস্যা থাকে বা হাইপার টেনশন থাকে তাহলে তা দই খেলে স্বাভাবিক রাখা যায়। মাথাধরা বা মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে সেটা দই দূর করতে পারে। রোজ সকালে একবাটি টক দই চিনি মিশিয়ে খেলে মাথাধরা বা মাইগ্রেনের ব্যাথা হবে না। চুলের জেল্লা ফেরাতে দইয়ের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি ভালো।
চুল খুব শুষ্ক হলে সপ্তাহে ২দিন করে চুলে টক দই লাগালে চুল স্মুথ হয়। শুষ্কতা কমে যায়। চুলে জেল্লার জন্য মাসে ২ বার করে টক দই লাগানো যেতে পারে। দইয়ের সাথে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে চুলে লাগালে চুল পরা কমে যায়। গরমকালে ত্বক ঘামে তেলতেলে হয়ে যায়। অনেকের ত্বক তৈলাক্ত হয়। এই তেলতেলে ভাব দূর করতে দই মুখে লাগানো কার্যকরী।