পুজোয় নতুন জুতো পরলেই ফোস্কা? চিন্তা নয়, এই পাঁচ উপায় মিলবে নিস্তার

কলকাতা: বাংলাজুড়ে ঢাকের বাদ্যি, আগমনীর সুর৷ মা আসছেন৷ চলছে শেষ মুহূর্তের শপিং৷ জামা-কাপড়ের সঙ্গে মানানসই জুতো-ব্যাগ মাস্ট৷ ফ্ল্যাট কিংবা বক্স হিল, ওয়েজ কিংবা পেনসিল হিল- এতক্ষণে অনেকের সু ক্যাবিনেটেই নতুন জুতোর ছড়াছড়ি৷ কিন্তু নতুন জুতো মানেই তো পায়ে ফোস্কা! সেই চিন্তাও তো কম নয়৷ কিন্তু কী ভাবে নিস্তার পাওয়া যায় এই জুতো-যন্ত্রণা থেকে? রয়েছে কিছু দাওয়াই৷
নতুন জুতো মানেই পায়ে ফোস্কা৷ তার পর সেই ফোস্কা ফেটে চামড়া উঠে একসার কাণ্ড। যত দামি জুতোই হোক না কেন, অধিকাংশ সময়েই দেখা যায় নতুন জুতো পরে খানিক ক্ষণ হাঁটিহাঁটির করলেই শুরু হয় যন্ত্রণা৷ বেশির ভাগ লোকের পায়েই ফোস্কা পড়ে যায়৷ তার পর পায়ের যন্ত্রণা সহ্য করেই চলে রাতভর প্যান্ডেল হপিং৷ এরই মাঝে খানিক স্বস্তি পেতে কেউ ব্যান্ড এড, কেউ আবার তুলো গুঁজে নেন৷ কেউ আবার ওষুধে রাখেন ভরসা৷ তবে একবার ফোস্কা পড়লে পরবর্তী ২-৩ দিন হাঁটা চলা করা বেশ মুশকিল হয়ে যায়৷ যা পুজোর আনন্দ মাটি করার জন্য যথেষ্ট৷ তবে জানেন কি বেশ কিছু ঘরোয়া টোটকায় মিটতে পারে জুতো যন্ত্রণা৷ ফোস্কা থেকে পেতে পারেন নিস্তার। কিন্তু কী ভাবে? চলুন দেখা যাক-
১) নতুন জুতো পায়ে গলানোর আগের দিন রাতে যে কোনও ময়শ্চারাইজার, পেট্রোলিয়াম জেলি বা নারকেল তেল ভাল করে মাখিয়ে রাখুন জুতোর গায়ে। সকালে ছেঁড়া কাপড় দিয়ে তা মুছে নিন৷ জুতো পরার সময় পায়েও কিছুটা ময়শ্চারাইজার মেখে নিন। এতে ফোস্কা পরার ঝুঁকি অনেকটাই কমে।
২) জুতোর নির্দিষ্ট কিছু অংশের চামড়া মোটা থাকলে, তা ত্বকের সঙ্গে ঘষা লেগে ফোস্কা পড়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। তেমনটা হলে জুতোর ওই অংশগুলিতে ভাল করে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। এতে জুতোর চামড়া নরম হয়ে যায়। তাই ফোস্কা পরার সম্ভাবনাও কমে৷
৩) ফোস্কা একবার পড়ে গেলে, তা নিয়ে কষ্ট করে হাঁটাচলা না কারই ভালো। বরং ফোস্কার জায়গায় অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম ও ব্যান্ড এড লাগালে আরাম পাওয়া যায়।
৪) ফোস্কা থেকে তৈরি হওয়া ক্ষতস্থানে দিনে তিনবার মধু ও অ্যালোভেরা জেল লাগালে উপকার পাবেন। এই দুই উপাদান ফোস্কার ক্ষত দ্রুত শুকোতে সাহায্য করে।
৫) অনেকে ফোস্কার জায়গায় টুথপেস্ট ব্যবহার করে থাকেন৷ এতেও আরাম মেলে। এ ছাড়াও ফোস্কা থেকে রেহাই পেতে বরফ দারুণ দাওয়াই। এ ছাড়া আরও একটা জিনিস করা যেতে পারে- সামান্য জলের সঙ্গে আটা গুলে থকথকে মণ্ডটি ফোস্কার উপর লাগান৷ এতেও ফোস্কার ক্ষত দ্রুত শুকিয়ে যায়। তবে ক্ষত অত্যধিক গভীর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং প্রয়োজনীয় অ্যান্টিসেপটিক লাগান।