প্রযুক্তি এখন বাবা মায়ের কাজ অনেক সহজ করে দিয়েছে৷ দুরন্ত শিশুকে খাওয়াতে হবে, হাতে ধরিয়ে দাও মোবাইল, বাচ্চা শান্ত, মায়ের ভোগান্তি কম। বাচ্চার এক নাগাড়ে কান্না থামাতে হবে টিভি চালিয়ে দাও। বাচ্চার চোখ টিভিতে আটকে মানেই কান্না কম, মাবা মায়ের চাপ কম। বাচ্চা ভোলানোর যন্ত্র হিসেবে যত বেশি আমরা মোবাইল, টিভি ও কম্পিউটার ব্যবহার করছি৷ কিন্তু, এগুলিই আদতে শিশুদের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে দ্রুত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি জানিয়েছে, চুপ করে বসে টিভি মোবাইল দেখা নয়, বাচ্চা যত ছুটবে আর খেলবে ততই ভালো থাকবে আগামীতে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নয়া নির্দেশিকাতে শিশুদের জন্য কত সময় টিভি দেখা বা কম্পিউটার দেখা উচিৎ তা বিশদে জানানো হয়েছে। ওই নির্দেশিকাতে স্পষ্টতই উল্লেখ করা হয়েছে, পাঁচ বছরের কম বয়স যে সব বাচ্চাদের টিভি মোবাইল বা কম্পিউটারে যতটা সম্ভব কম সময় কাটাতে হবে। যত কম টিভি বা মোবাইলে চোখ রাখবে বাচ্চারা তত ঘুম ভালো হবে তাঁদের। ভালো ঘুমের জন্য এবং স্বাস্থ্যবান হয়ে উঠতে গেলে টিভির পর্দা নয়, খেলার মাঠেই বেশি নিয়ে যেতে হবে বাচ্চাদের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, যে সমস্ত বাচ্চাদের বয়স একেবারেই কম, অর্থাৎ এক বছরেরও কম তাঁদের মোটেই টিভির সামনে বা কম্পিউটার মোবাইলের সামনে বসিয়ে দেবেন না। খাওয়াতে বসে শান্ত রাখার জন্য এত কম বয়সের বাচ্চাদের জন্য টিভি চালিয়ে দেওয়া বা সামনে মোবাইল চালিয়ে রেখে দেওয়ার আগে দু’বার ভাবুন।
এখানেই শেষ নয়, এক বছরের বাচ্চাদের টিভি দেখানও বা কম্পিউটার গেম খেলতে দেওয়াটাও বন্ধ করুন। এতে মারাত্মক ক্ষতির মুখে অজান্তেই নিজের শিশুকে ঠেলে দিচ্ছেন আপনি। ২ থেকে ৪ বছর বয়সী শিশুদের বেশি করে শারীরিক ক্রিয়াকলাপে নিযুক্ত করা উচিত। অনেক বেশি খেলাধুলো ও অন্যান্য কাজে নিজের শিশুকে নিযুক্ত করুন। সব শেষে দিনে খুব বেশি হলে এক ঘণ্টা টিভি বা কম্পিউটারে মন দিতে দিন, তার বেশি একেবারেই নয়।