কলকাতা: নাইট ক্লাবগুলি এখনও তাদের দরজা খোলেনি। তবে কলকাতার পার্টি কিন্তু আনলক হয়েছে। কেবল পার্টির জায়গা নয় ধরনও পরিবর্তিত হয়েছে। সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় সহ গত এক মাসে এই শহরে বেশ কয়েকটি হাই প্রোফাইল কেস হয়েছে। তাই সেই সব ঘটনা মাথায় রেখে সবাই তাদের পরিকল্পনা বদলে ফেলেছে। পার্টির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড কেউ করছে না।
বিভিন্ন অতিথির জন্য একাধিক পার্টি
বিশাল জমায়েত এড়াতে, কেউ কেউ তাদের অতিথিকে ছোট ছোট ব্যাচে ভাগ করে নিচ্ছেন এবং বিভিন্ন সময় তাঁদের সঙ্গে উদযাপন করছেন। তাঁ জন্মদিনের পার্টির জন্য জোহান মান্টোস অতিথিদের দুটি তালিকা তৈরি করেছিলেন। একটি তাঁর গার্লস গ্যাংয়ের এবং অন্যটি সবার। তিনি বলেন “খুব বেশি লোকের একত্র হওয়া এড়াতে আমি পৃথক দিনে দুটি দলকে হোস্ট করেছি। যারা আসতে অনিচ্ছুক ছিলেন তাঁদের জন্য আমি বলেছিলাম যে কোনও চাপ নেই। করাণ আমি তাঁদের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। আমার পার্টিতে মাস্ক এবং গ্লাভস পরা আবশ্যক ছিল এবং আমরা অনুষ্ঠানের স্থানটি পুরোপুরি স্যানিটাইজড করেছি। আমি জিনিসগুলি সুরক্ষিত রাখতে যা কিছু করতে পেরেছি তা করেছি।”
পুরোদমে হাউস পার্টি
খাবার থেকে শুরু করে অভিনব ককটেল প্রিমিক্স পর্যন্ত সবই এখন বাড়িতেই পাওয়া যায়। হেম ডেলিভাররির জন্য রয়েছে অনেক অ্যাপ। বাড়ির পার্টিকে সফল করতে সমস্ত উপাদান সরবরাহ করে তারা। কিছু পাঁচতারা হোটেল তাদের শেফকে আপনার বাড়িতেও পাঠায়। নিঃসন্দেহে এটি অন্য রকম অভিজ্ঞতা। পার্ক স্ট্রিটের একটি হোটেলের সঙ্গে যুক্ত শেফ শরাদ দেওয়ান বলেছেন, “আমরা জুনে শেফ-এ-হোম সার্ভিস চালু করেছি এবং প্রতিক্রিয়া মোটামুটি ইতিবাচক। এনগেজমেন্ট এবং জন্মদিনের পার্টির মতো সামাজিক ইভেন্টগুলিতে লোকেরা যাতে উপভোগ করে তাই এই সিদ্ধান্ত। ছয় থেকে দশ জনের জন্য বাল্ক অর্ডারের আর একটি বিকল্প রয়েছে। ছোট ছোট ডেলিভারি ছাড়াও প্রতি সপ্তাহে আমরা ১০টি অর্ডার পাই।”
থাকার ব্যবস্থা রয়েছে
হাউস পার্টির পাশাপাশি অনেক যুবক-যুবতী কাছাকাছি রিসর্টগুলিতে যাচ্ছেন। কলকাতার কাছাকাছি একটি ঐতিহ্যহাবী রিসর্টের একজন মুখপাত্র বলেছেন “আমরা দেখি বেশ কয়েকজন যুবক দম্পতি বা বন্ধুবান্ধব দল কয়েক দু' রাতের জন্য এসেছেন। লকডাউন দিনের জন্য বুকিংগুলি বেশি। লকডাউনের একদিন আগে, অতিথিরা দুপুরের পর থেকে আসা শুরু করে এবং তার পরের দু'এক দিন এখানে কাটান। কেবল সাধারণ মানুষই নয়, এমনকি সেলিব্রিটিরাও এমন করছেন।” সম্প্রতি রাইমা সেন তাঁর রিসর্টে এসেছিলেন বলে জানান তিনি।
সামাজিকীকরণ করুন, তবে আপনার সুরক্ষার পরিবর্তে নয়
শহরের এক হাসপাতালের কনসালটেন্ট কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ বিনায়ক দেব বলেছেন, “আমরা এখন আনলকের চতুর্থ পর্যায়ে এসেছি। থিয়েটার এবং অডিটোরিয়ামগুলি আবারও খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। লোকেরা নতুনটিকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে শুরু করেছে। এই সময়টি আমরা কীভাবে জীবনযাপন করব তা শিখেছি। ভাইরাসের সঙ্গে, সামাজিকীকরণের সময় সমস্ত সুরক্ষা নির্দেশিকা অনুসরণ করা কখনই ভুলবেন না। নিজে নিরাপদ থাকা এবং আপনার চারপাশের অন্যদেরও সুরক্ষিত রাখা জরুরি।”
শুধুমাত্র নির্ভরযোগ্য এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তির সঙ্গে পার্টি করুন
- একটি ভাল বায়ুচলাচল জায়গা পছন্দ করুন।
- কথা বলার সময় আপনার মাস্কটি সরাবেন না।
- খাওয়া বা পান করার সময়ই মাস্কগুলি নামানো উচিত।
- নিজেকে স্যানিটাইজ করুন এবং অন্যকেও এটি করতে উৎসাহ দিন।