নয়াদিল্লি: করোনা ঠেকাতে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু দিনের পর দিন লকডাউনের ফলে মানুষের রোজকার রুটিনে বদল এসেছে অপরিসীম। বাড়িতে থেকেই চলছে কাজ। ফলে হাতে সময়ও থাকছে অনেক। সমীক্ষা বলছে লকডাউনের ফলে প্রেগন্যান্সি রেট বেড়েছে। কিন্তু এর পাশাপাশি উঠে এসেছে আরও এক তথ্য। লকডাউনের মধ্যে সেক্স টয়ের বিক্রি বেড়েছে ৬৫ শতাংশ। নেটদুনিয়ায় এই খবর ছড়িয়ে পড়া মাত্রই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'আত্মনির্ভর ভারত' স্লোগানের সঙ্গে একে জড়িয়ে ঠাট্টা চলছে নেটদুনিয়ায়।
মহামারী চলাকালীন লকডাউনে অনেকেই সঙ্গীর কাছে যেতে পারেননি। কিন্তু শারীরিক চাহিদা তো আর লকডাউনের হিসেব মানে না। অতএব ভরসা সেক্স টয়। এই সময়ের মধ্যে যৌন খেলনা বিক্রি ৬৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে মানুষ 'বাড়িতে থাকুন, সুস্থ থাকুন' নীতিটিকে বেশ গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছেন। যৌন খেলনাগুলি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে মুম্বইয়ে। এর পরে বেঙ্গালুরু, নয়াদিল্লি, পুনে এবং চেন্নাই। এটি ছাড়াও পন্ডিচেরির মতো তৃতীয় স্তরের শহরগুলিতে সর্বাধিক সংখ্যক রি-অর্ডার পাওয়া গেছে। পানিপট, শিলং, ইম্ফল, ভাটিন্ডা, হরিদ্বার, পানজি, তেজপুর এবং রাউরকেল্লার মতো শহরের মানুষও সেক্স টয় কিনেছেন।
ঘরবন্দি মানুষের গতানুগতিক লাইফস্টাইল, সারাদিনের স্ট্রেস ও একঘেয়েমি কাটাতে মোক্ষণ ওষুধ হয়ে উঠেছে এই সেক্স টয়। সম্প্রতি একটি বিখ্যাত ই-কমার্স ওয়েবসাইটের সমীক্ষায় এই তথ্য সামনে এনেছে। সেটি সেক্স টয় সংক্রান্ত একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। ওই ওয়েবসাইটে সেখানে প্রায় ২ কোটি ২০ লক্ষ ভিজিটর রয়েছে। ওয়েবসাইট থেকে এই কদিনে ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার পণ্য বিক্রি হয়েছে বলে খবর। গড়ে দিনে ৩ হাজার ৯০০ টাকার কেনাকাটি হয়েছে। উত্তর প্রদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি পুরুষ ক্রেতা সেক্স টয় কিনেছেন। বিজয়ওয়াড়া, জামশেদপুর, ভদোদরার মতো শহরে মহিলা ক্রেতার সংখ্যা বেশি।
রিপোর্টে এও দেখা গিয়েছে পুরুষ ও মহিলাদের সেক্স টয় কেনার সময়ও আলাদা। মহিলারা সাধারণত বেলা ১২টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত সময়েই বেশি কেনাকাটা করেন। অন্যদিকে রাত ৯টার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত থাকে পুরুষ ক্রেতার ভিড়। ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সি পুরুষ এবং মহিলারাই সেক্স টয় কিনেছে বেশি। ওই ওয়েবসাইটের সমীক্ষা যে মানুষের যৌন চাহিদার একটি নতুন দিক খুলে দিল, তা বলাই বাহুল্য।