কলকাতা: করোনা সংক্রমণ এড়াতে শুরু হয়েছে লকডাউন। ফলে বাড়িতে থাকতে কার্যত বাধ্য মানুষ। আর তার ফলে বেড়ে খাওয়াদাওয়া। কে না জানে যে মন ভাল রাখতে খাওয়াদাওয়ার জুড়ি মেলা ভার? বাঙালি মাত্রই যে ভোজনরসিক, সেকথা সর্বজনবিদিত। কিন্তু ভারতীয় মানেও যে পেটপুরে থেকে ভালবাসে, তা বুঝিয়ে দিল লকডাউন। সমীক্ষায় প্রকাশ লকডাউনের মধ্য়ে যে পরিমাণ চিকেন বিরিয়ানি আর কেকের অর্ডার পাওয়া গিয়েছে, তা শুনে চোখ চড়কগাছ হয়ে যাওয়ার জোগাড়।
মহামারীর ফলে মানুষ রেস্তোঁরা বা বারে যেতে পারেননি। কেউ কেউ রান্নাঘরে নতুন পদ বানিয়েছেন। ইউটিউব দেখেও অনেকে নতুন নতুন রেসিপি নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করেছেন। কিন্তু সবসময় তো আর খাবার বানানো সম্ভব হয় না। তাই অনেক সময় বাইরে থেকে খাবার অর্ডার করেছে মানুষ। তা সে প্রাতরাশ হোক, মধ্যাহ্নভোজ বা নৈশভোজ। সম্প্রতি এ নিয়ে একটি গবেষণা চালায় সুইগি। গত কয়েকমাস ধরে যে সমস্ত শহরগুলিতে লকডাউন চলেছে, তার মধ্যে হয় সমীক্ষা। ভারতে এই সময় বিভিন্ন শহের মানুষ ঠিক কী খেতে পছন্দ করে, কী অর্ডার করেছিল, তা জানার জন্য এই সমীক্ষা করা হয়। পরিসংখ্যানগুলি পাওয়ার পর সেগুলি বিশ্লেষণ করে এক নতুন তথ্য আবিষ্কার করা হয়।
দেখা যায় লকডাউনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ অর্ডার হয়েছে চিকেন বিরিয়ানি। মোট ৫ লক্য ৫৪ হাজার ৫১২টি অর্ডার হয়েছে গোটা দেশে। এরপরেই রয়েছে বাটার নান। এটি অর্ডার হয়েছে ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ১৮৫টি। ৩ লক্ষ ৩১হাজার ৩২৩টি মশলা দোসা অর্ডার করেছে মানুষ। এটি রয়েছে তৃতীয় পোজিশনে। ডেজার্টের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে চকোলেট লাভা কেক। সুইগি চকোলেট লাভা কেক ডেলিভার করেছে প্রায় ১ লক্ষ ২৯ হাজারটি। গুলাব জামুন এবং বাটার স্কচ মাউস কেক যথাক্রমে ৮৪ হাজার ৫৫৮টি এবং ২৭ হাজার ৩১৭টি অর্ডার করা হয়েছে। ১ লক্ষ ২০ হাজারটি জন্মদিনের কেক ডেলিভার করেছে সুইগি। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৬৫ হাজার খাবার হোম ডেলিভারি করেছে এই সংস্থা। সমীক্ষা বলছে এক একজন ব্যক্তি গড়ে ২ হাজার ৫০০ টাকার খাবার পৌঁছে দিয়েছে।