সুশান্তের দিদির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ দায়ের রিয়ার, মোড় ঘুরছে তদন্তের?

সুশান্তের দিদির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ দায়ের রিয়ার, মোড় ঘুরছে তদন্তের?

9f51993acf320165ce9b1037256b9ee3

মুম্বই:সুশান্ত সিং রাজপুত হত্যা মামলায় নয়া সংযোজন। অভিনেতার দিদি প্রিয়ঙ্কা সিংয়ের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করলেন রিয়া চক্রবর্তী। সুশান্তের হত্যার পর পুলিশসহ তদন্তকারী বিভিন্ন সংস্থার জেরায় জেরায় জেরবার রিয়া চক্রবর্তী। তাঁর অভিযোগ সুশান্তের দিদি প্রিয়ঙ্কা একটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন মেডিক্যাল প্রেসক্রিপশনের সহায়তায় সুশান্তকে বেশ কিছু অ্যান্টি অ্যাংজাইটির ওষুধ খাওয়াতে চাইছিলেন যা কোনওভাবেই রোগী না দেখে ফোনে ফোনে দেওয়া চিকিৎসকের পক্ষে সম্ভব নয়। সুশান্তের দিদি রিয়া এবং রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের চিকিৎসক তরুণ কুমারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন রিয়া।

তাঁর দাবি এই বেআইনী প্রেসক্রিপশন পাওয়ার পাঁচদিনের মাথায় সুশান্ত মারা যান। রিয়া বলেন প্রিয়ঙ্কা সিং, তরুণ কুমার এবং ঘটনায় জড়িত অন্যান্য কাজকর্ম খতিয়ে দেখা উচিত। সুশান্তকে এমন বেআইনী এবং ভিত্তিহীন প্রেসক্রিপশন তাঁরা কীভাবে দেন তা তদন্ত করা উচিত বলেও তিনি মনে করেন। মুম্বই পুলিশের কাছে দায়ের হওয়া অভিযোগে লেখা হয়েছে ৮ জুন দিল্লির একটি হাসপাতালের ওপিডির রোগী হিসেবে ওই ভিত্তিহীন প্রেসক্রিপশনে সুশান্তের বিষয়ে লেখা ছিল। অথচ সেদিন তিনি মুম্বইয়ে ছিলেন। মুম্বইয়ে নিজের আবাসে সুশান্তের মৃতদেহ মেলার ছদিন আগে অভিনেতা ও তার দিদির হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ওপর ভিত্তি করেই এই অভিযোগ দায়ের করা হয়।

চ্যাটের দিনই  রিয়া চক্রবর্তী সুশান্তের আবাস ছেড়ে চলে যান রিয়া। তাঁর দাবি একটি জাল প্রেসক্রিপশন তৈরী করা হয় যাতে বেআইনীভাবে নারকোটিক বা সাইকোট্রপিক দ্রব্য ব্যবহার করা যায়। চ্যাট থেকে জানা যাচ্ছে প্রিয়ঙ্কা সুশান্ত সিং রাজপুতকে এক সপ্তাহের জন্য লিব্রিয়াম, নেক্সিটো নিয়মিত এবং অ্যাংজাইটি অ্যাটাক হলে লোনোজেপ ব্যবহার করতে বলছেন। হতাশা এবং চিন্তা নিবারণের জন্য এই ওষুধ তিনটি মূলত ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

এই চ্যাট সামনে আসায় সুশান্তের মানসিক সমস্যার কথা পরিবারের লোকেদের না জানার দাবি ভিত্তিহীন বলেই প্রমাণিত হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, প্রিয়ঙ্কা সিং দাবি জানিয়েছেন তিনি গোপনভাবে ভাইয়ের জন্য মুম্বইয়ের সেরা চিকিৎসকের ব্যবস্থা করবেন বলে তাঁকে আশ্বস্ত করছেন। বিহারে দায়ের হওয়া এফআইআরে সুশান্তের বাবা দাবি করেন ছেলের মানসিক সমস্যার বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *