করোনা আটকাতে ব্যর্থ প্লাজমা থেরাপি, বাড়ছে অন্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি

এই পদ্ধতি করোনা রুখতে কতটা কার্যকরী সেই নিয়ে আলোচনা হয় ন্যাশনাল ক্লিনিকাল গ্র্যান্ড রাউন্ড-এর তৃতীয় বৈঠকে। বুধবারের সেই বৈঠকের নির্যাস থেকে বোঝা গেল প্লাজমা থেরাপি খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়।

নয়াদিল্লি: করোনা ভ্যাকসিন কবে আসবে তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দিষ্ট খবর নেই। এতদিন ধরে প্লাজমা থেরাপি দিয়ে করোনা মোকাবিলা করার চেষ্টা হচ্ছিল। কিন্তু এবার প্লাজমা থেরাপিও ব্যর্থ হচ্ছে করোনা আটকাতে।

আরও পড়ুন: এক ক্লিকেই হাসপাতালে করোনা রোগীর অবস্থা জানতে পারবে পরিবার

ঘন ঘন চরিত্র বদলাচ্ছে করোনা ভাইরাস। এর অনেক বৈশিষ্ট্যই এখনও অজানা বিশেষজ্ঞদের কাছে। মৃদু, মাঝারি এবং সংকটপূর্ণ— এই তিনভাবে ছড়াচ্ছে করোনা। সেক্ষেত্রে মৃদু ও মাঝারি পর্যায়ে অনেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে। এই পদ্ধতি করোনা রুখতে কতটা কার্যকরী সেই নিয়ে আলোচনা হয় ন্যাশনাল ক্লিনিকাল গ্র্যান্ড রাউন্ড-এর তৃতীয় বৈঠকে। বুধবারের সেই বৈঠকের নির্যাস থেকে বোঝা গেল প্লাজমা থেরাপি খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। এই বৈঠকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপি কোনও কাজে আসছে না। ফলে করোনা রোগীদের মৃত্যুর ঝুঁকি কমছে না।

৩০ জন করোনা রোগীর ওপর প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হলেও কোনও আশা জাগাতে পারেনি এই পদ্ধতি, এমনটাই জানিয়েছেন এইমস-এর ডিরেক্টর চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি আরও বলেন, ট্রায়ালের সময় একদল রোগীকে সাধারণ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল, আর অন্যদিকে আরেকদল রোগীদের সাধারণ চিকিৎসার সঙ্গে প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতে তাদের শরীরে আলাদা কোনও প্রভাব চোখে পড়েনি। এই পদ্ধতিতে বিশেষ কারও কোনও শারীরিক উন্নতি হচ্ছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: SSC-র দফতরে করোনা হানা, কোয়ারেন্টাইনে একাধিক কর্মী

 
এইমস-এর মেডিক্যাল বিভাগের অধ্যাপক চিকিৎসক মনীশ সোনেজা জানিয়েছেন, প্লাজমা থেরাপি নিরাপদ, যদিও তাঁরা এর কার্যকারিতা সম্পর্কে এখনও কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি। তিনি বলেছেন, জাতীয় নির্দেশিকা মেনে ভাবনা চিন্তা করে এই পদ্ধতি কাজে লাগাতে হবে। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, প্লাজমা থেরাপি কোনও জাদু নয়, এটি রোগের প্রথম দিকে ব্যবহার করলে কারও কারও শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটতে দেখা যাচ্ছে। এ নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। একমত হয়ে এইমস-এর আর এক অধ্যাপক চিকিৎসক নীরজ নিশ্চল জানিয়েছেন, এটি একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু এর প্রয়োগে রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। অন্য কোনও রোগ শরীরে দেখা দিতে পারে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 + twelve =