মাছের ডিমে ক্ষতি ডেকে আনছেন না তো? খাওয়ার আগে দেখুন

কলকাতা: মাছের ডিমের ভেতর কী আছে?খোঁজ রেখেছেন?বর্ষায় তো পাতে থাকা ম্যান্ডেটরি,কিন্তু শরীরের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে না তো?আপনার মস্তিষ্কে কী হচ্ছে, দেখুন এই প্রতিবেদনে। মাছের ডিম।…

কলকাতা: মাছের ডিমের ভেতর কী আছে?খোঁজ রেখেছেন?বর্ষায় তো পাতে থাকা ম্যান্ডেটরি,কিন্তু শরীরের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে না তো?আপনার মস্তিষ্কে কী হচ্ছে, দেখুন এই প্রতিবেদনে।

মাছের ডিম। হার্টের রোগীদের জন্য খুব উপকারী। এতে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন ডি বিভিন্ন প্রকার হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। মাছের ডিমে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড দেহের ভেতরে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। ফলে হাই ব্লাড প্রেশার মানে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়।
যাদের হাইপারটেনশনের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্যেও মাছের ডিম অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর।

শুধু তাই নয়।‌ মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে মাছের ডিম। মাছের ডিমে থাকা এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্ককে ভালো রাখে। এমনটি রিউম্যাটয়েড আর্থারাইটিসের ক্ষেত্রেও মাছের ডিমের বড় ভূমিকা।

মাছের ডিমের বড়া, বড়ার‌ টক, বড়ার তরকারি সবটাই খেতে দারুন লাগে। কিন্তু খাওয়ার আগে এটাও তো জানা দরকার যে মাছের ডিমে থাকা ভিটামিন এ, আমাদের চোখ ভালো রাখে। এ ছাড়া এতে থাকা ডিএইচএ ও ইপিএ, শিশুদের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় ও রেটিনার কার্যকারিতাকে উন্নতমানের করে।

মনে রাখবেন, যারা অ্যানিমিয়ায় ভোগেন তারাও পাতে রাখতে পারেন মাছের ডিম। মাছের ডিমে থাকা স্বাস্থ্যকর উপাদানগুলো রক্ত পরিষ্কার করে। রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়। যা অ্যানিমিয়া থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। এমনকি শক্ত করে হাড়। দাঁতও মজবুত করে ও ভালো রাখে।

তবে মাথায় রাখবেন একটা বিষয়।‌ অনেক সময়ই বহু মানুষের অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয় মাছের ডিম থেকে। মাছের ডিম থেকে অ্যালার্জি দেখা দিলে, সেক্ষেত্রে ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। ত্বকে চুলকানির সমস্যা দেখা দেওয়া থেকে মাথা যন্ত্রণা, নাকে যন্ত্রণা, মাথা ঘোরা, এমনকি দুর্বলভাব ও দেখা দিতে পারে। তাই যাঁদের বিভিন্ন খাবারে অ্যালার্জির সমস্যা থাকে, তাঁদের অবশ্যই মাছের ডিম খাওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা দরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *